করোনার সংক্রমণ এড়াতে দেশ জুড়ে তিন দফায় জারি হয়েছে লক ডাউন। আগামী ১৭ই মে তৃতীয় দফার লক ডাউনের অন্তিম দিবস। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় চতুর্থ দফার লক ডাউনের ইঙ্গিত মিলেছে। অর্থাৎ আগামী ১৭ই মে-এর পর আরও লক ডাউন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই লক ডাউনের জেরে দেশ জুড়ে একমাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে অর্থনৈতিক কাজকর্ম। আর তাতেই অর্থনীতিতে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। তাই অর্থনীতির কঙ্কালসার অবস্থাকে নিরাময় করতে সরকারের তরফ থেকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাজারে নগদের জোগান বাড়ানোই এখন সরকারের মূল লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে বেশকিছু সুবিধা পেলেন চাকুরিজীবীরাও। কমানো হয়েছে টিডিএসের হার, পিএফ, ইপিএপে টাকা জমা দেওয়ায় বিশেষ ছাড় মিলেছে। ইপিএফের সদস্যদের প্রতিষ্ঠানগুলিকে লিক্যুইডিটি রিলিফ দেওয়া হয়েছে। আয়কর জমার দিনক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। জুন, জুলাই ও আগস্টে নিয়োগকারী ও কর্মচারীদের বেতনের ১২ শতাংশ টাকা সরকার দেবে বলে ঘোষণা হয়েছে। আর এর জন্যই তহবিলে বরাদ্দ হয়েছে ২,৫০০ কোটি টাকা। শুধুমাত্র যাঁদের বেতন ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত তাঁরাই এই সুবিধা পাবেন।
নন স্যালারিড পার্সন যাঁদের বেতন কোনো নির্দিষ্ট সংস্থা বহন করে না অর্থাৎ ডিভিডেন্ড, ব্রোকারেজ, কনসালটেন্সি এদের ক্ষেত্রে কর কেটে নেওয়ার হার কমানো হল ২৫ শতাংশ। আর এই কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪ই মে ২০২০ থেকে ৩১শে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত। এছাড়া ডিরেক্ট ট্যাক্সে ২০১৯-২০ বর্ষে ইনকাম ট্যাক্স জমা দেওয়া শেষ দিনের মেয়াদ ৩১শে জুলাই, ৩১শে অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে তা ৩০ নভেম্বর করা হল।