কৌশিক পোল্ল্যে: শরীরে প্রাদুর্ভাব ঘটেছে নানান ব্যাধির কিন্তু রোগ থাকলেও নিরাময়ের উপায় নেই, কারন হাত যে খালি। ডাক্তার দেখানোর পয়সাটুকু নেই এতটাই চরম ভোগান্তির শিকার এই প্রবীন অভিনেত্রী। ইন্ড্রাস্টিতে পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করে আসা অভিনেত্রী শ্রীমতি পাইন আজ চরম অর্থকষ্টে। সংসারের প্রবল আর্থিক সংকটে লকডাউনের বাড়তি চোখরাঙানিতে নিরুপায় হয়ে অভিনেত্রীর নাতনী সাহায্যের আশায় সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট করেন।
গত ১৩ই মে অভিনেত্রীর নাতনী আহেলি দাস ফেসবুক মারফৎ একটি পোস্টে দিদার নানান শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জানা গিয়েছে তার শরীরের ডানদিকটি সম্পূর্ন প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছে এবং তার কথার বলার ক্ষমতাও একেবারে নেই বললেই চলে, নিজে পাশ ফিরে শুতেও পারেন না। বিছানায় শুয়ে অসহায় দৃষ্টিতে শারীরিক সমস্যাগুলির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলেছেন এই প্রবীনা।
আহেলি আরও জানান, ওনার সুগার ছাড়িয়েছে ৪৩০, ফুসফুসের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। ডাক্তার বলেছেন ইনসুলিনে না কমলে তাকে নাসিংহোমে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করা তো দুরে থাক নাতনীর কাছে দিদার জন্য নূন্যতম ওষুধ কেনারও পয়সা নেই। আহেলির চাকরী নেই, তার বাবাও মাত্র আট মাসে আগে মারা গিয়েছেন ফলে আয়ের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ, সেই কারনেই নিরুপায় হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দারস্থ হয়েছেন তিনি।
নাতনীর পোস্ট থেকেই জানা গিয়েছে অভিনেত্রী শ্রীমতি পাইন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৭০ এর দিকে আকাশবাণীর বহু বেতার নাটকে তিনি কন্ঠ দিয়েছেন। এছাড়াও বহু বাংলা সিনেমাতেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। শেষ বয়সে বেশ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিক যেমন ‘টাপুর টুপুর’, ‘খোকাবাবু’ তে তিনি অভিনয় করেছেন।