এতদিনে হাওড়ার অনেক নেতা দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এবার শুরু হলো প্রথমবারের জন্য ভাঙ্গন। আগামীকাল বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন তৃণমূল নেতা শ্রীকান্ত ঘোষ (Sreekant Ghosh)। এছাড়াও তার সঙ্গে প্রায় ৫,০০০ কর্মী বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। এর মধ্যে একটা বড় অংশ নাকি হতে চলেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ফলে, নতুন করে চাপে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল।
আজ সকালে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) সঙ্গে কলকাতায় বৈঠক করেছেন শ্রীকান্ত ঘোষ। আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘক্ষন বৈঠক হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির সঙ্গে। এরপর শ্রীকান্ত ঘোষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন,” ২০০৮ থেকে তৃণমূল করছি। কিন্তু দল আমাকে কখনো যোগ্য সম্মান দেয়নি। ওরা শুধু আমাকে লুটে গেছে। আমার টাকাতে তৃণমূলের বড় বড় অনুষ্ঠান হয়েছে। কিন্তু আমার প্রতি দল কোন রকম সম্মান দেখায় নি। এরকমভাবে দলে থাকার কোন মানে হয়না।”
শ্রীকান্ত ঘোষ মধ্য হাওড়া এবং দক্ষিণ হাওড়া কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন বেশ কিছুদিন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, যদি তিনি বিজেপিকে না যেতে পারেন তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এছাড়াও তার হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের আরো বেশ কয়েকজন নেতা এবং মন্ত্রী দল ছেড়ে দেবেন। কারণ হলো এখানে কারোর কোনো ক্ষমতা নেই। দলটা একটা সম্পূর্ণ কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এই কোম্পানির সদরদপ্তর এখন কালিঘাট থেকে ডায়মন্ড হারবারে স্থানান্তরিত হয়েছে।
আগামীকাল হাওড়া ময়দানে জনসভাতে বিজেপিতে যোগ দেবেন শ্রীকান্ত ঘোষ সহ আরো অনেক তৃণমূল নেতা। তার আগে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে মিছিল করবে বিজেপি। এই মিছিলে উপস্থিত থাকবেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং অর্জুন সিংহের মতো বড় বিজেপি নেতারা।