পাঁউরুটি ১৩০ টাকা, পেট্রোল ২৫৪ টাকা প্রতি লিটার! প্রতিবেশী দেশের মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁলো
যুদ্ধের ১৭’তম দিনেও বিরাম নেই। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আপাতত বিপর্যস্ত গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি পেট্রোপণ্যের দাম রীতিমত আকাশ ছোঁয়া। আগামী দিনে সেই দাম আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সাধারণের কপালে। সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধির জালে রীতিমতো জর্জরিত প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা।
উল্লেখ্য, চীনসহ একাধিক দেশের ঋণের চাপে শ্রীলঙ্কা। যার প্রভাব ভীষণভাবে পড়েছে সেই দেশের অর্থনীতিতে, যা সেখানকার সাধারণ জনগণের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋণের চাপে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার জোগাড়। সেই দেশে বিলাসবহুল পণ্যের পাশাপাশি সাধারণের ব্যবহার্য জিনিসপত্রের দামও রীতিমত আকাশ ছুঁয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় এক প্যাকেট পাউরুটির দাম ৩০ এলকেআর বেড়েছে। অর্থাৎ এক প্যাকেট পাউরুটির দাম ১১০-১৩০ টাকা হয়েছে। ১ কেজি গমের দাম এক ধাক্কায় ৩৫ টাকা বেড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লঙ্কা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৭৫ এলকেআর বাড়িয়ে দিয়েছে। পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে ৫০ এলকেআর। সেখানকার বাস মালিক ও থ্রি হুইলার চালকরা জরুরী ভিত্তিতে জ্বালানির ভর্তুকি দাবি করেছেন। ভর্তুকি না পাওয়া গেলে বাস ভাড়া এক ধাক্কায় অনেকগুণ বেড়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের ঋণের জালে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার সাধারণেরা। পেট ভরানোর জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য কেনাও তাদের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠছে দিন দিন। দেশের মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণের জীবনে ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে আসছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ক্রমাগত কমছে। এমনকি অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্লেনের টিকিটের দাম ইতিমধ্যেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২৭%। বলাই বাহুল্য, এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভীষণভাবে বিপর্যস্ত।