Business Idea: মাত্র ৪০ হাজার টাকায় শুরু করুন এই সুপারহিট ব্যবসা, প্রতিমাসে আয় হবে বাম্পার
ভারতীয় খেলনা এখন বিশ্ববাজারেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে
আজকের এই দ্রুত গতির অর্থনৈতিক যুগে সবারই ইচ্ছা থেকে চাকরির পাশাপাশি একটা বাড়তি আয় করার। এর জন্য সবাই একটা দ্বিতীয় ব্যবসা খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আপনি যদি নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে প্রতিমাসে সহজে লাখ লাখ টাকা রোজগার করতে চান, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারও আপনাকে সাহায্য করছে এখন। মোদি সরকার এই মুহূর্তে খেলনা শিল্পকে দ্রুত অগ্রগতি করার জন্য সাপোর্ট করছে। এটা একটা এমন শিল্প যার কোনদিন প্রয়োজনীয়তা কমবে না। আপনি এই সেক্টরে, একটা বড় টাকা আয় করতে পারেন, পাশাপাশি আপনি দেশকে স্বনির্ভর করতে অবদান রাখতে পারেন। চলুন দেখা যাক কিভাবে আপনি এই ব্যবসা শুরু করবেন এবং কিভাবে আপনার উন্নতি হবে।
আসলে ভারতের খেলনার বাজারে চীনের একটা বিশাল বড় আধিপত্য রয়েছে। মোদি সরকার শুরু এই আধিপত্য কমাতে চাইছে না, বরং আমেরিকা এবং ইউরোপের শিশুদের হাতে ভারতীয় খেলনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে দেশের রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সরকার শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এটা একটা এমন শিল্প যার কোনদিন প্রয়োজনীয়তা কমবে না এবং এর একটা ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এই ব্যবসা আপনাকে অবশ্যই শুরু করা উচিত
তবে কোন ব্যবসাই সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়ে যায় না। কয়েক ডজন শ্রমিক নিয়ে কারখানা চালু করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। ভালো করে গবেষণা করে তারপর ব্যবসা শুরু করতে হয়। আপনি ঘরে বসেই এই সফট টয় তৈরি করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ঘরে বসেও আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার এতে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি এতে ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারেন এবং প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
এই দুটি ব্যবসায় বিনিয়োগের কথা বললে আপনাকে বিশেষ করে দুটি মেশিন কিনতে হবে। এছাড়াও ছোট পরিসরে সফটওয়্যার এবং ট্রেডি তৈরি করতে আপনার কাছে কাপড় কাটার মেশিন এবং সেলাই মেশিন থাকতে হবে। হাতে চালিত কাপড় কাটার মেশিনের দাম বাজারে প্রায় ৪ হাজার টাকা এবং সেলাই মেশিনের দাম প্রায় ৯ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়াও ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা অন্যান্য খরচ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ ইউনিট সফট টয় তৈরি করতে আপনার ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। এইভাবে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে আপনার মোটামুটি ৩৫ হাজার টাকা মতো খরচ হবে কিন্তু আপনি প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকার মতো রোজগার করতে পারবেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে বিক্রি হওয়া খেলনার ৮৫ শতাংশ মাত্র ৩-৪ বছর আগে আমদানি করা হয়েছিল। আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের ছেলেমেয়েরা ভারতীয় খেলনা ব্যবহার করে। ভারতীয় খেলার এখন অনেকটাই গুরুত্ব বেড়েছে এবং রপ্তানি বেড়েছে ৬০ শতাংশ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ভারত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩৭১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের খেলনা আমদানি করেছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১১০ মিলিয়ন ডলার খেলনা আমদানি করেছিল ভারত। অন্যদিকে রপ্তানির দিক থেকেও ভারত বেশ ভালো এগোচ্ছে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ভারত ২০০ মিলিয়ন ডলারের খেলনা রপ্তানি করেছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২৬ মিলিয়ন ডলার।