করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তথৈবচ। এ পরিস্থিতিতে রাজ্যে ১৮ বছরের উর্ধ্বে টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই তৃতীয় পর্যায়ে টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে এবং আপাতত ১৭ লক্ষ প্রতিষেধকের অর্ডার দেওয়া রয়েছে। ইতিমধ্যেই আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলিকে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে তবে ভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে আসেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ভারতে বর্তমানে চালু দুটি ভ্যাকসিন কভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন মিলিয়ে ১৭ লক্ষ্য টিকার বরাত দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে। সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক দুটি কোম্পানির কাছেই এই বরাত পৌঁছেছে। ১০ লক্ষের বেশি কভিশিল্ড এবং বাকিটা রয়েছে কো ভ্যাকসিন। প্রধানত ৪৫ এ বেশি বয়সী মানুষ এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেওয়ার উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, ৪৫ এর বেশি বয়সী যাদেরকে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে রাজ্যকে ১৩ লক্ষ টিকা দেবে। আগামী ১৩ মে এর মধ্যে সমস্ত শিকা চলে আসার কথা। এই অবস্থায় আবার টিকাকরণের গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১৭ লক্ষ টিকার বরাত দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত পহেলা মে থেকে শুরু হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির কাছে খোলাবাজার থেকে টিকা কেনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। টিকার দাম এ বৈষম্য নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে চাপান উতোর চলছেই। তবে টিকা সরবরাহ কিন্তু এখনও পর্যন্ত খুব একটা ভালো নয় তাই টিকাকরণের গতি তেমন একটা নেই।