কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজ্য সহ গোটা দেশেই পর্যটন শিল্প কার্যত থমকে গিয়েছে। যদিও মানুষ ধীরে ধীরে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে কিছুটা তাজা বাতাসের লক্ষ্যে দিঘা, দার্জিলিং এসব জায়গায় অল্প ভিড় জমাচ্ছে, তবুও প্রত্যেক বছর উৎসব মরশুমে পর্যটনক্ষেত্রে যে অগুন্তি লোকের আনাগোনা দেখা যায়, সেটা আর এবার চোখে পড়ছে না। আর এমন পরিস্থিতিতে পর্যটনে পেশাদারিত্ব আনতে এবার বন দফতরের ৩৪টি বাংলোকে বেসরকারিকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বন দফতর।
জানা গিয়েছে, গত ৫ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। যাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই বাংলোগুলিকে বেসরকারিকরণ করা হলেও স্থানীয় কর্মসংস্থানের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। রাজ্যের অভয় অরণ্যগুলির মধ্যে বেশ কিছু আকর্ষণীয় বাংলো রয়েছে কিন্তু সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটন শিল্পে ক্ষতি হচ্ছিল। পর্যটকরা সেভাবে সেখানে যেতে পছন্দ করতেন না। আর তাই আধুনিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য এই ভাবনা ভাবা হয়েছে বলে রাজ্য বন দফতর সূত্রে খবর।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, দার্জিলিঙের মানেভঞ্জন ট্রেকারস হাট, সামশিঙের মৌচাকী ক্যাম্প, জলপাইগুড়ির নেওড়া ক্যাম্প, জলপাইগুড়ি-লাটাগুড়ির মূর্তি টেন্টস, বাঁকুড়ার ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, পুরুলিয়ার মাঠা ট্রি হাউস-সহ ৩৪টি বন বাংলো বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। ওই সব সংস্থা বাংলোকে ঘিরে পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ব্যবস্থা করতে পারবে বলেও জানান গিয়েছে।
রাজ্য বন দফতরের সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটনশিল্প আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এবং স্থানীয় কর্মসংস্থান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী এক রাজ্য বন দফতরের আধিকারিক। এখন রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে পর্যটকরা কতটা এই সকল বাংলোমুখি হয়, সেটাই দেখার।