বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কনভয় হামলার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নাড্ডার নিরাপত্তায় থাকা রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশন দিয়েছিল। তবে তাতে অসম্মতি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। অবশ্য রাজ্য সরকারের কথায় কার্যত পাত্তা না দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গতকাল ৩ আইপিএস অফিসারের বদলি করে দেয়। এর ফলে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আরো বাড়ে। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এহেন আচরণে বিস্ফোরক টুইট করে। তারপর আজ আইপিএস ডেপুটেশন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত সুপ্রিমকোর্টের দোরগোড়ায় পৌঁছায়।
গতকাল নবান্নের কথা অমান্য করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পোস্টিং পাঠিয়ে দিয়েছিল। তারা রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকে নতুন পোস্টিং দিল। রাজিব মিশ্রকে ITBP তে পাঠানো হয়েছে। প্রবীণ ত্রিপাঠি পোস্টিং হয়েছে SSB তে। আর ভোলানাথ পান্ডে গেছেন KBPRD তে। এই তিন অফিসারের নতুন পোস্টিং ৫ বছরের জন্য করা হয়েছে। নবান্নে এই খবর পৌঁছানোর পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের নির্দেশ মতো আজ রাজিব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি ও ভোলানাথ পান্ডে এর কেন্দ্রের ডেপুটেশন কাজে যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের অবস্থানে অনড় থাকায় তাদের কাজে যোগ দেয়া তো দূর, নবান্নের ছাড়পত্র মেলেনি তাদের দিল্লি যাওয়ার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই এই তিন অফিসারকে রাজ্যের ছাড়া সম্ভব নয়। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছে, এই করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে আইপিএস ও আইএএস এর সংখ্যা কম আছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কথা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
এরপরই আজ সকালে এই ঘটনা সুপ্রিম কোর্ট অব্দি গড়ায়। কেন্দ্রের অসাংবিধানিক কাজের বিরুদ্ধে রাজ্য সুপ্রিম কোর্ট অব্দি যাচ্ছে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট আদৌ যদি মামলা দেয় তাহলে কি রাই দেবে তার ওপর চেয়ে আছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি।