শিয়রে ২১ এ বিধানসভা ভোট। বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই বিরোধীদের। ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যখন রাজ্যে এসেছে নির্বাচন কমিশনে ফুলবেঞ্চ, ঠিক তখনই মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দিল নবান্ন। রিপোর্ট হতে জানা গিয়েছে, আগের করেক বছরে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার ফলও মিলেছে হাতে নাতে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা কমেছে অনেকটাই।
বাংলা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কতটা কমেছে? রিপোর্টে, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি নারী পাচারের মতো বিভিন্ন অপরাধের কথা উল্লেখ করে তথ্য পেশ করেছে বাংলার সরকার। বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল ৩০ হাজার ৯৯৯ টি, মাত্র ১ বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৩৯৮ টি। ২০১৯ এ এসে সেই সংখ্যা আরও কমে গিয়েছে বলে খবর রিপোর্টের। সরকার হতে দাবি করা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে ভারতের ৮ টি রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার ছিল রাজ্যের থেকে বেশি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মহিলাদের ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার বিরোধীদের। তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একজন মহিলা। কিন্তু অপরাধীরা সাজা পাচ্ছেনা। উলটে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে নির্যাতিতাদের! রিপোর্ট কি বলছে? সরকার হতে দাবি করা হয়েছে, প্রতিবছর ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের হার কমছে বাংলায়। সেই দিক থেকে দেশের ২৩টি রাজ্যের তুলনায় মহিলারা বেশি নিরাপদ পশ্চিমবঙ্গেই। এমনকী, ধর্ষণের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, নারী পাচারের ক্ষেত্রেও ছবিটা একই। গ্রাফ নিম্নমুখী। রিপোর্টের একেবারে শেষে, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ রুখতে সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তাও তুলে ধরা হয়েছে বিস্তারিতভাবে।