নিউজরাজ্য

বেতন বন্ধ করার পরেও মেটানো হয়নি বকেয়া মহার্ঘ ভাতা, আদালতে হাজির হলেন শীর্ষকর্তারা

রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে এই মহার্ঘ ভাতা মামলা নিয়ে বেশ অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে

Advertisement

বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আজকের তরফ থেকে। তারপরেও মহার্ঘ ভাতা না মেটানোয় সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও হয়নি সুরাহা। এখনো পর্যন্ত কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়নি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার আদালতে এই নিয়ে হাজিরা দিলেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজারসহ অন্যান্য আধিকারিকরা আগামী শুক্রবার এই নিয়ে আবারও মামলা রাখার আর্জি জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তার দাবি, শুক্রবারের মধ্যে অনেকাংশে সমাধান হতে পারে এই সমস্যার। সেই অনুযায়ী শুক্রবার আবারও মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

মূলত রাজ্যের দুটি বিদ্যুৎ সংস্থা ডব্লিউবিএসইটিসিএল (WBSETCL) এবং ডব্লিউবিএসইডিসিএল (WBSEDCL) এর বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। দুই সংস্থার আধিকারিকরা এই দিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন। তারা জানিয়েছেন গত মাসে বেতন পাননি এ দুটি সংস্থার শীর্ষকর্তারা। তা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত বকেয়া মেটাতে পারেনি বিদ্যুৎ নিগম। এদিন আদালতে উপস্থিত হয়ে জিএম সহ অন্যান্য আধিকারিকরা এই মামলার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে খবর।

বেতন বন্ধের বিষয়টি যাতে আদালত পুনঃবিবেচনা করে সেই ব্যাপারে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে যাতে আবেদন করা হয় সেই পরামর্শ দিয়েছেন এজি। শুক্রবার ফের ওই আধিকারিকদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা না মেটানোর কারণে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছিল। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি।

আদালতের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ২৩ শে জুনের মধ্যে ওই দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা একাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। অন্তত কুড়ি হাজার কর্মী রয়েছেন ওই দুই সংস্থায়। আদালতে যে সময় দিয়েছিল তার মধ্যে বকেয়া মেটানো হয়নি। তারপরেই আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। অন্যদিকে, আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যদি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা না মেটানো হয় তাহলে উচ্চপদস্থ কর্তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেইমতো বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আগে শুনানিতে সংস্থাকে রীতিমতো কড়া কথা শুনিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মানথা। তিনি বলেছিলেন, “সংস্থার কর্মীরা মানুষ। তাদের ছাড়া সংস্থা চলে না। ঠিকমতো ব্যবহার করুন তাদের।” তারপরেও কর্মীরা এখনো পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতার টাকা পাননি। অভিযোগ টানা তিন বছর রাজ্য সরকার ওই সংস্থার কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা বন্ধ করে রেখেছে।

Related Articles

Back to top button