এক বছর আগে এসেছিল ভয়াল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। আম্ফানের ফলে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা এবং সংলগ্ন উপকূলসহ দুই ২৪ পরগনায় বিশাল পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সেই ক্ষতি এখনও তারা ঠিক করে সামাল দিয়ে উঠতে পারেনি। গতবারের আম্ফানের সময় পরপর দু’দিন কন্ট্রোল রুমে সার্বিক পরিস্থিতির উপর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবারে যশ এর ক্ষেত্রে হবে ঠিক সেরকমই।
আম্ফান ঝড় বিকেল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এসেছিল। আর দুপুর থেকেই নবান্নে কন্ট্রোল রুমে বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে যশ এর উপরে নজর রাখতে নবান্নের পাশের প্রশাসনিক ভবন উপান্নে পরপর দু’দিন উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি হবে কন্ট্রোল রুম এবং সেখান থেকেই সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর সারাদিন নজর রাখা হবে।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করার জন্য সমস্ত দিক থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্তরের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে। বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সেক্রেটারি। তার সাথে সাথেই মৌসম ভবন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঝড়ের গতিবেগ মোটামুটি ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে।
ফলে স্বভাবতই উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন এই নতুন ঘূর্ণিঝড় যশকে নিয়ে বেশ ত্রস্ত। তাদের সুরক্ষার জন্য একেবারে আদাজল খেয়ে নেবে পড়েছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ৬৫টি মোকাবিলা বাহিনীর দল তৈরি করে ফেলেছেন। ২০ টি অতিরিক্ত টিম স্ট্যান্ডবাই অবস্থানে রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা পৌঁছে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের সুরক্ষিত থাকার জন্য শুরু হয়ে গেছে মাইকিং। তার সাথে সাথেই রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। মৎস্যজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা সমুদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন।