যশ ঘূর্ণিঝড় বাড়াচ্ছে আতঙ্ক, লকডাউনে শিথিলতা রাজ্য সরকারের, কি কি বিষয়ে ছাড়
গোটা দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের মাঝেই নতুন উদ্বেগের নাম যশ সাইক্লোন। বেশ কয়েকদিন আগে থাকতেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা রাজ্যকে এই ঘূর্ণিঝড়ের কথা জানানো হয়েছে। ঝড়টি বঙ্গোপসাগরের বুকে শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই ঝড় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়বে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য রাজ্যজুড়ে চলছে কার্যত লকডাউন প্রক্রিয়া। কিন্তু ঝড়ের কথা মাথায় রেখে ও জরুরি ভিত্তিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকার বেশকিছু কঠোর বিধিনিষেধের শিথিলতা জারি করেছে।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ অর্থাৎ রবিবার সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছিল। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার সকালের মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর তা শক্তি বৃদ্ধি করে উত্তর উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে যশ। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুধবার সন্ধ্যায় ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মাঝখান দিয়ে চলে আসবে পড়বে।
রাজ্য সরকার এই ঝড়ের আগে প্রধানত চাষবাসের যাতে না কোন ক্ষতি হয় তার চেষ্টা করছে। সেই জন্য লকডাউন এর মাঝেও চাষের কাজে বেশ কিছু শিথিলতা আনার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই ঝড়ের সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়েছে। সেগুলি হল:
- জরুরী ভিত্তিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রাক বর্ষার জরুরী কাজ সহ গ্রামীণ উন্নয়নের কাজে ছাড় দেওয়া হবে।
- বীজ, সার, রাসায়নিক এবং কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কেনা বেচাসহ কৃষি, হটিকালচার ইত্যাদি কাজে ছাড় দেওয়া হবে।
- এছাড়া কৃষিজাত দ্রব্য পরিবহন ও মজুতের ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ নেই।