প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন এই মামলা একেবারে পেঁয়াজের খোসার মতো। ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবীরাও এই বক্তব্যে সম্মতি জানিয়েছিলেন। ঠিক সেভাবেই গত কয়েক মাসে পরতে পরতে দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার হওয়ার পরে এবার তাদের নাম সামনে আসছে যাদের চাকরি হয়েছে বেআইনিভাবে। বেশ কিছু নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু গ্রুপ ডি মামলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরেও তেমন কোন সিদ্ধান্ত নেয় নি কলকাতা হাইকোর্ট। বেআইনি নিয়োগ বাতিল হলে স্কুলে ঘণ্টা বাজানোর পর্যন্ত লোক পাওয়া যাবে না বলে আদালতে জানিয়েছে রাজ্য। সেই কারণেই পদক্ষেপ নিতে কিছুটা বিলম্ব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই ১৬৯৮ জনের নাম পেয়েছিল যাদের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল। সেই সমস্ত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা এবং তাদের সমস্ত তথ্য আদালতের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বৃহস্পতিবার সেই তালিকা জমা দেওয়ার পর এই সকল ব্যক্তিদের কাছ থেকে বসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রাজ্যের তরফে আপত্তি জানানো হয়।
আদালতে রাজ্য সরকার জানায়, যদি এতজন লোককে একসাথে কাছ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কোন কোন স্কুলে ঘন্টা বাজানোর লোক পর্যন্ত পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে স্কুল চালানো একেবারে দুঃসহ হয়ে উঠবে। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব বিষয়টা একটু ভেবে দেখা উচিত। রাজ্যের এই আর্জি শোনার পর কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে তেমন আর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আপাতত হাইকোর্টের তরফ থেকে ডিআইদের ওই ব্যক্তিদের নির্দেশিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।