মন্ত্রী হওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের কাছে সরাসরি দাবি রেখেছিলেন, তার একটি ফ্ল্যাট লাগবে কলকাতায়। বিশিষ্ট জন, তার ওপর আবার রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, তাই তার জন্য একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন তিনি শাসক দলে নেই, বরং তিনি এখন বিরোধী দলনেতা। তাই অবিলম্বে ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিশ পাঠাবে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী হবার পর ৪/৩ সল্টলেকের শ্রাবণী আবাসনে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠাতে চলেছে রাজ্যের পুর এবং নগর উন্নয়ন দপ্তর।
অন্যদিকে ঐ আবাসনের আরো একটি ফ্ল্যাট শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ একজন নেতার নামে রয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটটিও ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকারের পুর এবং নগর উন্নয়ন দপ্তর। জানানো হয়েছে, মন্ত্রী হবার পরে তিনি ফ্ল্যাটের আবেদন জানিয়েছিলেন এবং বিশিষ্ট জন হিসেবে তার ফ্লাটের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু তিনি এখন বিরোধী দলনেতা, রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই তাই ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
বলতে গেলে শ্রাবণী আবাসনের যে সমস্ত ফ্ল্যাট রয়েছে তা অন্যান্য সরকারী আবাসন এর থেকে অনেক বেশি বড়। এই শ্রাবণী আবাসনে রয়েছে তিন কামরার ফ্ল্যাট, যা ২,০০০ বর্গমিটার জায়গা নিয়ে আছে। তবে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী নন, আরো এক তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতা তথা সাংসদ সুনিল মন্ডলের ফ্ল্যাট রয়েছে ওই আবাসনে। সূত্রের খবর সুনীল মণ্ডল কে ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত সুনিল মন্ডলের ফ্ল্যাটে এই বছরের জন্য রিনিউ করানো হয়নি। অন্যদিকে এক বাম কৃষক নেতা হান্নান মোল্লার নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে এই আবাসনে। সুত্রে খবর ওই বাম নেতাকেও তার নিজের ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠাবে রাজ্য সরকার। যদিও এই ফ্ল্যাট ছাড়ার নোটিশ নিয়ে এখনো পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী কিংবা বিজেপি রাজ্য নেতাদের থেকে কোন মন্তব্য শোনা যায়নি।