ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভেঙে গিয়েছে প্রচুর গাছপালা, গৃহহীন হয়েছেন অনেক মানুষ। ভেঙে পড়েছে বাড়ি। ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছে মাথার ছাঁদ। আর এরই মাঝে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। এরপর এদিন বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানের ফলে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের ২০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব বাড়ি গুলি ভেঙে গিয়েছে তা মেরামতের জন্য ২০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। একটি জেলাতেই নষ্ট হয়েছে দশ লক্ষের মতো বাড়ি। পরবর্তীতে গ্রামীণ আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া হবে। এছাড়া পানীয় জলের পরিস্থিতি খারাপ যেসব এলাকায় সেখানে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পান বরোজ পিছু পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যেসমস্ত অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে পুনর্গঠনের কি কি কাজ হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মূল্যায়ন করা হবে। সরকারি তথ্যের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল আমফান তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত। নষ্ট হয়েছে সাড়ে দশ লক্ষ হেক্টর চাষের জমি। ৭০০ কিমি রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। ৩৮২ টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪১১০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা, ২ হাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৫৮ হাজার হেক্টর জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।