প্রতিবাদের পদ্ধতিতে রয়েছে রবীন্দ্রভারতীর ছোঁয়া, অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ খড়গপুর ছাত্রীদের
শ্রেয়া চ্যাটার্জি : বাংলা তথা ভারতের ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে চর্চিত বিষয়। খোলা পিঠে লেখা হয়েছে অশ্লীল ভাষা। তাও আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান কে বিকৃত করে। শুধু তাই নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান কে বিকৃত করে চলেছে তার সঙ্গে নাচানাচি ও। যারা এই অন্যায় করেছেন তারা অবশ্য পরে এসে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু ক্ষমা চাইলেই কি যা হয়েছে সেটা সবাই ভুলে যাবে? এমন একটি ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে কলঙ্কিত। তারা কেউ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নন, তারা বহিরাগত। কিন্তু তাহলেও তারা তো কোন না কোন কলেজের ছাত্র ছাত্রী। এবং রবীন্দ্রনাথ প্রত্যেক বাঙালির মনে মনিকোঠায় বিরাজ করেন। আর বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা তারা কি করে এমন বিকৃত মনের কাজ করতে পারলো সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ছবি দেখে অনেকেই অনেক রকম মতামত দিচ্ছেন।
তবে, খড়গপুর ট্রাইবাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্রীরা এক অভিনব পদ্ধতিতে এই কুকর্মের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। চারজন মহিলা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাদের খোলা পিঠে লেখা ‘কবি গুরু ক্ষমা করেন’। এই অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদকে সত্যি স্যালুট জানাতে হয়। প্রতিবাদের ভাষা ও কখনো অশ্লীল হওয়া ঠিক নয়। তাহলে যারা এই ভুলটা করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও পার্থক্য থাকেনা।
সম্ভবত এই ছাত্রীরাও সেদিনকে দোল উদযাপন করেছিলেন। রবীন্দ্রভারতীর এই বিষয়টি সকলের মনেই নাড়া দিয়ে গেছে। একেক জন একেক ভাবে প্রতিবাদ করেছেন। যাদের পক্ষে প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়নি তারা ভেতরে ভেতরে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন আধুনিক সমাজের এমন বিকৃত মানসিকতার জন্য। প্রত্যেকের মনে এখন একটাই প্রশ্ন এই নতুন প্রজন্ম এর বিকৃত মানসিকতা কি করে সমাজটাকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে? যেনতেন প্রকারেন পরিচিতি লাভের আকাঙ্ক্ষাই বোধহয় এর মূল কারণ। যাই হয়ে থাকুক তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
তবে খড়্গপুরের এই ছাত্রীদের এই অভিনব উদ্যোগ কে কুর্নিশ জানাতে হয়। তারাও এই প্রজন্মের এ। কিন্তু তাদের প্রতিবাদের ভাষার মধ্যে কোনো অশ্লীলতা নেই। তারা যেন এই কথার মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন যে, রবি ঠাকুর তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।