ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Sukanya Samriddhi Yojana: সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় প্রতিবছর ১,২০,০০০ টাকা রাখলে মোট কত টাকা পাওয়া যাবে রিটার্ন? রইল হিসেব

আপনি যদি সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় অ্যাকাউন্ট খুলতে চান আপনার মেয়ের নামে, তাহলে এটাই কিন্তু সব থেকে ভালো সময়

Advertisement

কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং বিয়ের খরচ নিয়ে অনেকেই অনেক সময় চিন্তিত হয়ে থাকেন। অনেকেই আবার এমন হন যারা কন্যা সন্তানের জন্মের পরেই তার জন্য বিনিয়োগ শুরু করে দেন। তবে আজকে যেরকম ভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগে থেকে শুরু করে বিনিয়োগ করা এবং পরে গিয়ে সেই বিনিয়োগে লাভ তোলা এতটা সহজ কাজ নয়। এইজন্য এখন আপনার লাগবে স্মার্ট বিনিয়োগ। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা এরকমই একটি দারুণ প্রকল্প, যা আপনাদের মেয়েকে একটা দারুণ ভবিষ্যৎ অফার করবে।

ইতিমধ্যেই সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। আগে এই প্রকল্পে সুদের হার ছিল ৮ শতাংশ। তবে এবারে, এই প্রকল্পের সুদের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং বর্তমানে আপনারা ৮.২ শতাংশ করে সুদ পেয়ে যাবেন এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে আপনারা প্রতিবছর দারুণ রিটার্ন দেখতে পারবেন। মেয়ের বয়স ১০ বছর হওয়ার আগে আপনারা এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। আপনি প্রতি বছর ২৫০ টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন এই একাউন্টে। তবে সর্বাধিক বিনিয়োগের পরিমাণ দেড় লক্ষ টাকার বেশি হওয়া যাবে না। পাশাপাশি যদি আপনি কোন বছর ২৫০ টাকার কম বিনিয়োগ করেন, তাহলে কিন্তু আপনাকে জরিমানা করা হবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ হলো ২১ বছর। তবে মেয়ের বয়স ১৮ বছর হলে তার শিক্ষার জন্য বাবা মা টাকা তুলতে পারেন। এই প্রকল্পে যদি আপনি বিনিয়োগ করেন তাহলে কম বিনিয়োগে প্রচুর টাকা আপনি লাভ পেয়ে যাবেন।

যদি আপনি কোন বছর ২৫০ টাকা ন্যূনতম বিনিয়োগ না করেন, তাহলে কিন্তু আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে। তাহলে এই অ্যাকাউন্ট ডিফল্ট হয়ে যাবে এবং, সেই অ্যাকাউন্ট আবার রি ওপেন করতে ৫০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ পরের বছর আপনাকে ৩০০ টাকা দিতে হবে। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক আপনি যদি প্রতিবছর ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনি কত টাকা রিটার্ন পেয়ে যাবেন এই অ্যাকাউন্ট থেকে।

মনে করা যাক, এই মুহূর্তে কারো কন্যার বয়স পাঁচ বছর এবং তিনি এই সময় থেকে বিনিয়োগ শুরু করেছেন এই একাউন্টে। তিনি প্রতি বছর ১,২০,০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করছেন। সেই হিসেবে এগোলে, ২০৪৫ সালে মোট ৫৫,৪২,০৬২ টাকা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, আপনারা বিনিয়োগ করলেন ১৮ লক্ষ টাকা এবং সুদ পেলেন ৩৭,৪২,০৬২ টাকা। সব মিলিয়ে যখন আপনি ম্যাচিউরিটির সময় টাকা তুলতে চলেছেন, তখন আপনারা মোট ৫৫,৪২,০৬২ টাকা পেয়ে যাবেন রিটার্ন হিসাবে।

Related Articles

Back to top button