এবার তৃণমূলের এই ইতিবাচক মনোভাবকে স্বাগত জানালেন সুখবীর সিং বাদলও। তৃণমূলকে সাধুবাদ জানিয়ে একটি টুইটে তিনি লেখেন, “ডেরেক-ইয়োর স্ট্যান্ড আগেনস্ট দ্য এগ্রিকালচার বিলস ইন পার্লামেন্ট ইজ ওয়েলনোন। অ্যাপ্রিশিয়েট ইয়োর সাপোর্ট”। প্রসঙ্গত, কৃষিবিল ইসুতে শিরোমণি অকালি দল প্রথম থেকেই তাদের আপত্তি জানাচ্ছিল।
পরে ডেরেক ও’ব্রায়েন একটি টুইটে জানিয়েছিলেন, লড়াইটা যেহেতু কৃষকদের স্বার্থে তাই তৃণমূল সুখবীর সিং বাদল এবং অকালি দলকে সমর্থন জানাবে। কিছু দিন আগেই কৃষি বিলকে হাতিয়ার করে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদদের একত্র করে এবার সেই যৌথ লড়াইকেই মাঠের লড়াইয়ে পরিণত করতে চান মমতা। কৃষি বিল নিয়ে মোদি সরকারের ভুল নীতিতে দেশে দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য মহামারীর প্রকোপ বাড়ছে বলেও ওই দিন মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমনকি এরপর আটজন বিরোধী সাংসদের বরখাস্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন, ”কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। ফের প্রমাণ হল যে এই সরকার গণতন্ত্রের সম্মান করে না। আটজন সাংসদ কৃষকদের জন্য লড়াই করেছে। আমরা এত সহজে মাথা নিচু করব না। রাজ্য সভা হোক বা রাস্তা, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে”।
নরেন্দ্র মোদিকে উলঙ্গ রাজা আর সংসদে কৃষি বিল পাশের দিনটিকে “ব্ল্যাক সানডে” বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে সারা ভারত জুড়ে কৃষি বিল নিয়ে যা অবস্থা চলছে তাতে টালমাটাল অবস্থা ভারতের রাজনীতির। এনডিএ ছাড়ার পরে কংগ্রেস ছাড়া বিরোধীদলের অনেকেরই সমর্থন পাচ্ছে অকালি দল এবার তৃণমূলও সেই তালিকায় রইল।