Business Idea: গ্রীষ্মে এই দুর্দান্ত ব্যবসাটি শুরু করুন, আপনি প্রতি মাসে 3 লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করবেন
গ্রীষ্মকালে যদি আপনার ব্যবসা শুরু করতে হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে
গ্রীষ্মকাল আসন্ন এবং এই মৌসুমে যদি আপনি নতুন করে কোনো ব্যবসায় নামতে চান তাহলে এটা কিন্তু একটা ভালো সময় হতে পারে আপনার জন্য। ব্যবসা অনেক রকম হতে পারে কিন্তু গরমের দাবদাহের দিনে সবথেকে ভালো ব্যবসার আইডিয়া হলো ঠান্ডা পানীয়ের ব্যবসা। গরমের দাবদাহে ঠান্ডা পানীয়, লস্যি, আইসক্রিম – এইসবের চাহিদা তুঙ্গে। এই সুযোগে আপনিও শুরু করতে পারেন লাভজনক ব্যবসা। আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্রীষ্মে কোন ব্যবসাগুলো আপনাকে করে তুলতে পারে কোটিপতি!
১. ঠান্ডা পানীয় ব্যবসা:
কোল্ড ড্রিংক, ফলের রস, শরবত – এইসবের চাহিদা গ্রীষ্মে অনেক বেশি। প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এই ব্যবসা থেকে। তবে, এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে একটা ভালো টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ আপনি ব্যবসা শুরু করবেন এমনই একটা জায়গা থেকে যেখানে মানুষজনের চলাফেরা একটু বেশি।
২. লস্যি ও বাটার মিল্কের ব্যবসা:
স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী পানীয় হিসেবে লস্যি ও বাটার মিল্কের জনপ্রিয়তা বেশি। খুব কম বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। প্রতিদিন ১,০০০ থেকে ১,৫০০ টাকা আয়ের সম্ভাবনা।
৩. জুস বিক্রির ব্যবসা:
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে জুসের চাহিদা বেশি। প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এই ব্যবসা থেকে। তবে এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটু ভিড় জায়গা দেখতে হবে এবং সচরাচর অফিস সংলগ্ন এলাকায় এই ধরনের ব্যবসা ভালো চলে।
৪. আইসক্রিমের ব্যবসা:
তবে এইসব ছাড়াও সব থেকে বেশি যে ব্যবসাটা গরমের সময় সব থেকে ভালো চলবে সেটা হল আইসক্রিমের ব্যবসা। ভারতে প্রত্যেক বয়সের মানুষজন আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। ৮ থেকে ৮০ সকলের জন্য এই আইসক্রিম একটা জনপ্রিয় জিনিস। আপনি এই ব্যবসা থেকে প্রচুর টাকা আয় করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। প্রতি ঘন্টাতেও আপনি এই ব্যবসা থেকে ভালো টাকা আয় করতে পারেন। যদি আপনি স্কুল সংলগ্ন বা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এই আইসক্রিম ব্যবসা শুরু করেন তাহলে লাভের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে।
এই ৪টি ব্যবসা ছাড়াও আরও অনেক ব্যবসা আছে যা আপনি গ্রীষ্মের মৌসুমে শুরু করতে পারেন। তবে ব্যবসা শুরু করার আগে বাজার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ নিন এবং একটি সুন্দর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন। উপরে উল্লেখিত আয়ের পরিমাণ আনুমানিক এবং বাজার, অবস্থান, এবং ব্যবসার ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
ব্যবসা শুরু করার আগে আইনি দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।