সুশান্ত কেসে জল ক্রমশ ঘোলা হচ্ছে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ইতিমধ্যেই সুশান্তের প্রাক্তন হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককে গ্রেফতার করেছে। আজ শনিবার এই দুইজনকে আদালতে তোলা হলেও, আদালতের রায় অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিবি র হেফাজতেই থাকবে।
উল্লেখ্য, সৌভিক চক্রবর্তী জেরার মুখে দিদি রিয়া চক্রবর্তীর নাম এনেছেন। সৌভিকের সরাসরি অভিযোগ রিয়াকে যে নাকানি চোবানি খাওয়াবে তা একেবারে স্পষ্ট। সৌভিকের স্বীকারোক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে রিয়া চক্রবর্তী স্যামুয়েল মিরান্ডাকে দিয়ে মাদক আনাতেন। সৌভিক মাঝে অনুঘটকের কাজ করতেন।সৌভিকের স্বীকারোক্তির পাশাপাশি সুশান্তের পরিচারক জানান, রিয়া চক্রবর্তী নির্দেশ দিতেন সুশান্তের খাওয়ারে মাদক দিতে। এমনকি রিয়া চক্রবর্তী নানা আছিলায় সুশান্তের খাওয়ারে মাদক মেশাতেন। এছাড়াও, সৌভিক ও রিয়ার সমস্ত ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করার পর, সৌভিক-রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট-এ উঠে আসে নানান অপ্রাসঙ্গিক কথা, যেখানে এটা স্পষ্ট যে রিয়া ও সৌভিক উভয়েই প্রত্যক্ষ ভাবে মাদক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত।
তাই এইবার একেবারে কোমর বেধে নেমে পড়েছে সিবিআই ও নারকোটিক্স ডিপার্টমেন্ট। সূত্রের খবর, সৌভিক ও স্যামুয়েলের জবানের ভিত্তিতেই আজ রাতে অর্থাৎ শনিবার রিয়াকে সমন পাঠাবে। রিয়ার জন্য থাকবে কিছু প্রশ্ন যার কেন্দ্রবিন্দু সৌভিক ও স্যামুয়েলের স্বীকারোক্তি। উল্লেখ্য, সুশান্ত মৃত্যু কেসে যতটা না রিয়া চক্রবর্তী ফাসবেন তার থেকে কয়েকগুণ বেশি ধাক্কা খাবেন মাদক চক্রান্তে, এমনটাই মনে করছে নেটিজেনের একাংশ।
কিছুদিন আগেও, এক গণমাধ্যমে রিয়া স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি কোন মাদক সেবন করেন না এমনকি তাঁর আইনজীবীও এই একই কথা বলেছেন, অথচ রিয়ার ভাই সৌভিক স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে রিয়া মাদক আনাতেন। অন্যদিকে দীপেশও জানিয়েছেন যে রিয়াই সুশান্তের খাবারে মাদক মেশাতেন। পাশাপাশি শ্রুতি মোদিও জানিয়েছিলেন যে সুশান্ত ও রিয়া একসঙ্গে মাদক সেবন করতেন।