নিউজপলিটিক্সরাজ্য

পুরভোট নিয়ে সবুজ সিগনাল শীর্ষ আদালতের, তারই মধ্যে দ্বিমত তৃণমূলের অন্দরে

Advertisement

করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত রয়েছে পুরভোট। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ পেলেও বর্তমানে একুশের নির্বাচনের আগে কলকাতা পুরসভা কোনভাবেই পুরভোট করতে চায়না। তবে এই নিয়ে আবার দ্বিমত রয়েছে শাসক দলের অন্দরেই। এদিন বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর বদনের শীর্ষ আদালতের আগের রায় নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তৃণমূল। তাদের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, তারা শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী স্পেশাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট অফিসার নিয়োগ করতে পারে পুরভোটের জন্য।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সাত দিনের মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পুরভোট নিয়ে সমস্ত কর্মসূচি জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়াভাবে সূচিত করা হয়েছে যেন ভোটের সমস্ত নির্ঘণ্ট ও জানানো হয়। বর্তমানে শাসকদলের একটা বড় অংশ পুরভোটের পক্ষে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি পুরভোট হয়, তাহলে দুইদলের শক্তি পরীক্ষা হয়ে যাবে। পুরভোটের পক্ষে রয়েছেন খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি মন্তব্য করছেন,” যদি বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোট হয়, তাহলে ১৪৪ এর মধ্যে ১০০ টি আসনে জিততে চলেছে তৃণমূল। এর মাধ্যমে, বিধানসভা ভোটের আগে শাসকদল বেশ খানিকটা অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যাবে।”

অন্যদিকে আবার প্রশান্ত কিশোর সহ একাধিক প্রভাবশালী বিধায়ক এই পুরভোটের বিপক্ষে রয়েছেন। তাদের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি পুরভোট হয় তাহলে তা কিন্তু ভালো হবে না। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণরূপে ঠিক হয়নি। এই কারণেও তারা কিছুটা হলেও বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোটের বিরোধিতা করছেন। হঠাৎ পুরভোট নিয়ে বর্তমানে দ্বিমত রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে যেন পুরসভা ভোটের সমস্ত নির্ঘণ্টও তাদের কাছে পেশ করা হয়। জানা যাচ্ছে এই প্রক্রিয়া তার আগেই শুরু হয়ে যাবে। এ বিষয়ে পুরমন্ত্রী বলেছেন, করণা সংক্রমণ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি সঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধন চলতি কর্মসূচি, দুটি বিষয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং সুপ্রিমকোর্টকে জানানো হবে।” পাশাপাশি এ বিষয় নিয়ে আইন দপ্তরের মতামত নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Related Articles

Back to top button