কৌশিক পোল্ল্যে: সুশান্ত সিং রাজপুতই প্রথম ভারতীয় অভিনেতা যিনি চাঁদে জমি কিনেছিলেন। পৃথিবীর বাইরে মহাকাশের নানান অজানা রহস্য অন্য কোনো গ্রহের কোনো নতুন তথ্যের সন্ধান এইসব নিয়েই থাকতে ভালবাসতেন অভিনেতা। পৃথিবী ছাড়িয়ে সমগ্র ব্রহ্মান্ডের প্রতি তার প্রবল আকর্ষণ ছিল। মহাকাশবিদ্যায় তার এই নেশাই তাকে পৃথিবীর উপগ্রহ চন্দ্রমার খানিকটা অংশের অধিপতি করে তোলে। ব্যাপারটা শুনে আজগুবি মনে হলেও আদতে এটাই সত্যি। চাঁদে নিজের ওই জমি পর্যবেক্ষণ ও দেখাশোনার নিমিত্তে খুব বিলাসবহুল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত বাইনোকুলারও কিনেছিলেন তিনি।
এছাড়াও আকাশে ওড়ার ইচ্ছে ছিল তার বহুকালের এই কারণেই বোয়িং 737 ফিক্সড বেস ফ্লাইটি তিনি কিনে নেন এবং এটি চালানোর লাইসেন্স হস্তগত করেন। এই এরোপ্লেন নিজ হাতে উড়িয়ে সেই বহুদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু এখানেই তার যাত্রা থেমে ছিল না। মহাকাশ নিয়ে তার নিজস্ব চিন্তাভাবনা, রহস্যভেদ, পর্যবেক্ষণ এসব নিয়ে মেতে থাকতে ভালবাসতেন। 2018 সালে ইন্টারন্যাশনাল লোনার ল্যান্ডস রেজিস্ট্রি থেকে ক্রয় করে নেন।
চাঁদের প্রতি এতখানি ঘনিষ্ঠতা তাকে এই সংক্রান্ত সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে চাঁদ ও মহাকাশ বিষয়ক একটি ছবিও নির্মাণ করতে চলেছিলেন সুশান্ত ‘চাঁন্দা মামা দূর কি’। এই সিনেমার জন্য বিশেষ ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ নিতেও শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও ছবির কাজ অসফল রাখে অকালে চলে গেলেন সুশান্ত। তার এই বহুদিনের স্বপ্নটুকু পূরণ করে যেতে পারলেন না কিছু অন্ধকার বিভীষিকার মুখে পড়ে।
নিছকই শখের বশে চাঁদে জমি কিনে ফেলেননি অভিনেতা। ওই জমি নিয়ে পরবর্তীতে নানারকম রিসার্চ ও নতুন তথ্যের অন্বেষণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। যেহেতু চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ তাই এই উজ্জ্বল গোলকটির খানিকটা অধিকারসত্ত্বা গ্রহণ করার ইচ্ছাপ্রকাশ তিনি বাস্তবে পূরণ করে দেখিয়েছিলেন।