‘আমিও প্রতারিত’, দেবাঞ্জনের গ্রেফতারির পরেই সুরবদল ডেপুটি সেক্রেটারি সুস্মিতার
উত্তর কলকাতার সিটি কলেজে যে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করা হয়েছিল সেখানে সমস্ত দায়িত্ব ছিল সুস্মিতার উপরেই
কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে দেবাঞ্জন দেবের সহকারীদের বিরুদ্ধেও এবারে অভিযোগের তীর উঠতে শুরু করেছে। দেবাঞ্জন এর সব থেকে বড় সহযোগী এবং সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবাঞ্জন তাকে সব সময় নিজের ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাই এই ভ্যাকসিন কাণ্ডে পুলিসের নজরে সুস্মিতা ও আছেন। যদিও সুস্মিতা সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন তিনি নিজেই প্রতারিত হয়েছেন, এবং এই কাণ্ডের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। কিন্তু পুলিশ বর্তমানে সে কথা মানতে নারাজ।
পুলিশের ধারণা দেবাঞ্জন শুধুমাত্র একা এই কাজ সম্পন্ন করতে পারে না। তার পিছনে তার সঙ্গে অনেক বড় একটা চক্র কাজ করছে। পুলিশের ধারণা, দেবাঞ্জন এর কিছু বিশ্বাসভাজন লোক তার সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল এই ভ্যাকসিন কান্ড ঘটাতে। আর পুলিশের স্ক্যানারে বর্তমানে সবথেকে উপরের দিকে আছেন এই সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর কলকাতার সিটি কলেজে দেবাঞ্জন একটি ক্যাম্প করেছিলেন যেখানে ৭২ জনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। আর এই টিকা শিবির অরগানাইজ করেছিলেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সকলের সরকারি আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন সুস্মিতা। কিন্তু দেবাঞ্জনের গ্রেফতারির পরে ফাঁপোরে পড়ে সুস্মিতা নিজের বয়ান পাল্টে দিয়েছেন। সুস্মিতা জানিয়েছেন, তিনি নিজেই প্রতারিত এবং তিনি নিজেই জানতে না উনি ভুয়ো আইএএস অফিসার।
সংবাদমাধ্যমের সামনে সুস্মিতা বলেন, ” আমরা কি জানতাম উনি ভুয়ো আইএএস অফিসার? উনি ভুযো জয়েন্ট কমিশনার? আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এতগুলো মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে দিনের পর দিন প্রতারণা করেছেন তিনি। আমরা এই সমস্ত কি করে জানবো। আমার মা আমার ভাই সবাই ভ্যাকসিন নিয়েছে তার কাছ থেকে। আমরা পুরোপুরি প্রতারণার শিকার। আর আমি কোনভাবেই ডবলুবিসিএস অফিসার নই বরং আমি এডমিন অফিসার হিসেবে এসেছিলাম। আমি জানতামই না দেবাঞ্জন আমাকে বাইরে সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতেন।”