সম্প্রতি শনিবার দুপুর বেলা মেদিনীপুর কলেজ গ্রাউন্ড এর সভায় বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার মঙ্গলবার বেলা ৩ টে নাগাদ তিনি সভা করবেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী তে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এটিই হতে চলেছে তার প্রথম জনসভা। তার সাথে সেদিন উপস্থিত থাকবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে, এবার থেকে একের পর এক জেলায় সফর করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিজেপির আদব-কায়দা গ্রহণ করতে শুভেন্দু কে সাহায্য করবেন দিলীপ। যদিও দিলীপ নিজেকে গাইড আখ্যা দিচ্ছেন না। দিলিপের কথায়, শুভেন্দু পুরোদস্তুর রাজনীতিক মানুষ। প্রথমদিকের কয়েকটা সমাবেশে আমি অথবা অন্যান্য নেতারা থাকবেন তার সাথে। কিন্তু তারপর থেকে বিভিন্ন জেলায় একাই সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু কে বিজেপি যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে, এবং সেটা স্পষ্ট হচ্ছে তার যোগদানের পর থেকেই। মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় ফেরার সময় অমিত শাহ নিজের চপারে নিয়ে গেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী কে। এরপর দলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। বিজেপির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক কালে এই ঘটনা একেবারে নজিরবিহীন। পাশাপাশি, রাজারহাটের একটি হোটেলে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে বিজেপির অন্তর্বর্তী বৈঠক হয়েছিল। সেখানে, এবারের নির্বাচনে শুভেন্দুকে ব্যবহার করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। পাশাপাশি দিলীপ দার জনপ্রিয়তাও প্রচুর। অতএব এই মুহূর্তে যদি দিলীপ শুভেন্দু জুটি একসাথে মাঠে নামে তাহলে নির্বাচনী ময়দানে সুফল মিলতে পারে বিজেপির।
যদিও রবিবার অন্ডালে অনেক রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। শুভেন্দুর অমিত শাহ কে বিদায় জানানোর জন্য সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি যাননি। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে শুভেন্দু কে নিয়ে দল কি ভাবে এগোতে পারে সেই নিয়ে বৈঠক হয়েছে।