আগামী ৭ আগস্ট নীতি আয়োগ এর বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই দিল্লি গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজধানীতে পৌঁছেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই।
বৈঠক শেষ করে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “তৃণমূল নেতা-নেত্রীসহ ১০০ জনের নাম জমা দিয়েছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। চার বিধায়কের লেটার প্যাডসহ বিভিন্ন তথ্য প্রমান জমা দিয়েছি।” বৈঠকের পর অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি আরো বলেছেন, “আমি একশোর বেশি বিধায়ক এবং তৃণমূল তালিকারের নাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি। এরা বাংলায় ঘুষের চক্র চালিয়েছে এবং তার নাম করে টাকা তুলেছে।”
অন্যদিকে শুভেন্দুর এই দাবি ঘিরে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেছেন, উনি যে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন তার দলের বাকি লোকেরা কি জানে এটা? জানা যাচ্ছে দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা করে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ বাংলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণে গোপন বোঝাপড়া করার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে আজ অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে আগামীকাল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। বৈরাগের পর দিল্লিতে আলাদা করে আলোচনায় বসবেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। অমিত শাহ এর কাছে তৃণমূল নেতৃত্বের এই তালিকা প্রকাশের পর তদন্ত কোন দিকে গড়াবে এখন সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।