গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কলাইকুন্ডায় বৈঠক না করা নিয়ে উত্তাল গোটা বঙ্গ রাজনীতি। অবশ্য বঙ্গ রাজনীতি কথাটা হয়তো যথাপোযুক্ত হবে না। বলা ভালো, উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। গতকাল রাতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র তাদের নিজেদের কাছে ডেকে নিয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক না করে দিঘাতে চলে যাওয়ায় মমতা ব্যানার্জির “ঔদ্ধত্য” নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্র। তবে আজ অর্থাৎ শনিবার মমতা ব্যানার্জি সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে কালকে বৈঠকে না থাকা কোনো দোষ নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কোন ভাবেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গতকালের বৈঠকে উপস্থিত থাকাটা মেনে নিতে পারেননি। তিনি গতকালই একটি বৈঠকে বলেছেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি এত সম্মান দেওয়া হয় তাহলে লোকসভায় কেন বিরোধী দলনেতাকে সম্মান দেওয়া হয় না? ওড়িশায় বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়নি কেন?” মমতার এমন বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “মমতার সমস্ত দাবি অসত্য। ওড়িশার বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি করোনার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। অন্যদিকে লোকসভার বিরোধী দলনেতাদের যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়।”
এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্নের এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে প্রণাম করে বলেছেন, “পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে বললে তাই করবো। তাতে যদি বাংলার মানুষের উপকার হয়।” এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “পা ছুয়ে প্রণাম করার দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রীকে তার সাংবিধানিক সম্মানটুকু দিলেই হবে।”
এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে গলায় সুর তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “গতকাল কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ছেড়ে মুখ্যসচিবের বেরিয়ে যাওয়া সাংবিধানিক প্রটোকল ভাঙ্গা। যেকোনো আমলার উচিত সব দলকে সম্মান জানানো। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তিনি বেরিয়ে গিয়ে ঠিক কাজ করেননি।”