নন্দীগ্রাম: করোনামুক্ত হয়ে সভা করতে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল-কংগ্রেসের অন্দরে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান নিয়ে একটা জল্পনা দেখা দিয়েছে। আর সেই জল্পনাকে আরও একবার উস্কে দিলেন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে তিনি যা বক্তব্য রাখলেন তা যথেষ্ট এটাই বোঝাই যে, দলের সঙ্গে তাঁর একটা মতান্তর এবং দূরত্ব দুটোই তৈরি হয়েছে। তাই হয়তো বিজয়ার বিশেষ বক্তৃতায় একবারের জন্যও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেননি শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বিজয়ার বিশেষ সভায় রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘আমি লিফটে উঠিনি। প্যারাসুট থেকেও নামিনি। আমি সিঁড়ি ভেঙে উঠে এসেছি। ছোটলোকরা কিছু বললে আমি তার উত্তর দিই না। উল্টে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই এটা ভেবে যে, কেউ কেউ অতীত ভুলে যায়। ধৈর্য ও সহ্য ক্ষমতা আমার রয়েছে।’ এভাবেই নাম না করে বিশেষ কাউকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক তার পরক্ষণেই একই মঞ্চে থেকে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমিও প্যারাসুটে নামিনি। আমিও লড়াই করে এখানে এসেছি। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই করে এসেছি। ওনার হাত ধরে এখানে এসেছি। এটা ভুলে গেলে চলবে না।’ বিজয়ার সভামঞ্চে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দিল যে, একুশের ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদল এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেটা মিটবে নাকি দূরত্বটা আরও বাড়বে, তা তো বলবে সময়।