নিউজপলিটিক্সরাজ্য

ইস্তফাপত্র দিয়ে তৃণমূলের সাথে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু অধিকারী, কি লিখলেন সেই চিঠিতে

Advertisement

একুশের নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতি সরগরম ছিল শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে। শেষ পর্যন্ত আজ দুপুরে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটল। দীর্ঘ ২১ বছরের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে আজ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক ২১ বছর আগে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের আন্দোলন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক পথ চলা শুরু করেছিল। আজ দুপুরে সবকিছুর ইতি ঘটলো। তিনি নিজে দুপুরে বিধানসভায় এসে তার হাতে লেখা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুরে বিধানসভায় আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি তার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা যে হাতে লেখা চিঠি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে জমা দিতে জান। কিন্তু ততক্ষণে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা থেকে চলে গেছিল। তাই শুভেন্দুবাবু সচিবের হাতে তার চিঠি দিয়ে আসে। যদিও পরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছে, “শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি। ইস্তফাপত্র গ্রহণের এক্তীয়ার নেই সচিবের।” তারপরেই আবার জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি শুভেন্দুর ইস্তফা গ্রহণ করতে চাইছে না।

শুভেন্দু অধিকারী নিজের হাতেই লিখেছিলেন তার ইস্তফা পত্র। কি লেখা ছিল সেই ইস্তফা পত্রে? শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “আমার শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। এখানে আমি বিধানসভার সদস্য হিসেবে ইস্তফা পত্র জমা দিতে এসেছি। অনুগ্রহ করে এই পদত্যাগপত্র গ্রহণের সব পদক্ষেপ শীঘ্রই গ্রহণ করুন। ইতি আপনার অনুগত, শুভেন্দু অধিকারী।” এই হাতে লেখা চিঠির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগেই তিনি তার মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারপর আজকের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা তার তৃণমূলের শেষ কাজ হলো।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। আজ সকালে তিনি তৃণমূল বেসুরোদের উদ্দেশ্য করে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেছিলেন, “কেউ জোয়ারের জলে চলে আসে আবার ভাটায় চলে যায়। তাতে কিছু যায় আসে না। যারা দলে প্রথম থেকে ছিল তারা তৃণমূলের জন্য লড়বে। আসলে আসল মানুষের কখনো চরিত্র বদল হতে পারে না। জেনে রাখবেন, জামা কাপড় পরিবর্তন করা যায় কিন্তু আদর্শ পরিবর্তন করা যায় না।”

Related Articles

Back to top button