কথা রাখল মারুতি সুজুকি। জাপানে প্রদর্শিত হল নতুন ভার্সনের সুজুকি ওয়াগন আর। পেট্রোল, ডিজেল কিংবা CNG-তে নয়, নতুন এই ওয়াগন আর চলবে বায়োমিথেন গ্যাসে।
ভারতে মারুতি সুজুকির গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে নতুন ওয়াগন আর। সংস্থাটি ২০২২ সাল থেকে ওয়াগন আর সিবিজি নিয়ে কাজ করছে এবং এই মাসের শেষের দিকে টোকিওতে জাপান মোবিলিটি শোতে সেটি প্রকাশ্যে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছিল কোম্পানি। সেই অনুযায়ী জাপানে প্রকাশ্যে এসেছে Wagon R CBG ভার্সন।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে মারুতি সুজুকি একটি ফ্লেক্স-ফুয়েল ওয়াগন আর প্রোটোটাইপ উন্মোচন করেছে যা ২০ শতাংশ (ই ২০) এবং ৮৫ শতাংশ (ই ৮৫) এর মধ্যে ইথানল-পেট্রোল মিশ্রণে চলতে পারে। কয়েক মাস আগে সংস্থার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব বলেছিলেন, শুধু ইলেকট্রনিক গাড়ির উপর নির্ভর না করে হাইব্রিড প্রযুক্তি, সিবিজি এবং সিএনজি ব্যবহার দেশে কার্বন নির্গমন কমাতে সহায়তা করবে।
সিবিজি যানবাহন এবং ইঞ্জিনকে শক্তি দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। পেট্রোলিয়াম উৎস থেকে প্রাপ্ত সিএনজি এর বিপরীতে, সিবিজি কৃষি বর্জ্য, গোবর, পয়ঃনিষ্কাশন এবং এমনকি পৌর বর্জ্যের মতো জৈব পদার্থের পচন থেকে পাওয়া যায়। বায়োগ্যাসকে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য একটি পরিমার্জন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যা জ্বালানীতে মিথেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলবে এবং এটি সিএনজির গঠনের কাছাকাছি নিয়ে যাবে।
যেহেতু সিবিজি জৈব উৎস থেকে প্রাপ্ত হয় সেহেতু পচনের উপ-পণ্যগুলি কৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ২০২০ সালে তৎকালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছিলেন যে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫,০০০ প্ল্যান্ট থেকে ১.৫ কোটি টন সংকুচিত বায়োগ্যাস উৎপাদন করতে দেশ ২৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। এই পদক্ষেপটি ভারতকে ব্যয় হ্রাস করার সুযোগ দেবে।