বড় খবর : বিতর্কের জেরে রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা স্বপন দাশগুপ্তের
ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবির তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিতে চাইছে। আসলে চলতি বছরের নির্বাচন যে অন্য বছরের মত না তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এবারে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে একটি হেভিওয়েট লড়াই আশা করে আছে বঙ্গবাসী। গত রবিবার গেরুয়া শিবির তাদের তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ৬৩ কেন্দ্রে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন। তবে সেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না গেরুয়া শিবিরের। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সাথে সাথে প্রশ্ন ওঠে তালিকায় ৫ সাংসদের নাম দেখে। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে বিজেপির কি কোন সম্ভাবনাময় মুখ নেই যার জন্য তাদের সাংসদের নাম ব্যবহার করতে হচ্ছে?
পাঁচ সাংসদের মধ্যে হুগলি তারকেশ্বর কেন্দ্র থেকে স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। সাংসদ হওয়া সত্বেও তার বিজেপি প্রার্থী হওয়া নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে বিতর্কের অবসান ঘটাতে আজ অর্থাত বুধবার বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত তার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ সোমবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র অভিযোগ করেছিলেন যে বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে সংবিধানের নিয়ম ভেঙ্গে স্বপন দাশগুপ্ত কে প্রার্থী করেছেন। সেইসাথে বিজেপি সাংসদ এর বহিষ্কারের দাবি করেছিলেন তিনি। তার কথায়, “মনোনীত কোন সাংসদ শপথ গ্রহণের ৬ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন না। স্বপন দাশগুপ্ত রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ হওয়ার পর কি করে তিনি বিজেপি প্রার্থী তালিকায় থাকতে পারেন?” অন্যদিকে বিজেপির তালিকায় এখনো ৪ প্রার্থীর নাম আছে যারা রাজ্যসভার সাংসদ। টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে লোকসভার সদস্য বাবুল সুপ্রিয় নির্বাচনে লড়ছেন। এছাড়াও লকেট চট্টোপাধ্যায় ও নিশীথ প্রামাণিক আরও দুই নাম।