একদিনের সিরিজে ভারতের ব্যর্থতার পিছনে ঠিক কি কি কারণ রয়েছে দেখে নিন
টি-টোয়েন্টি সিরিজে একই প্রতিপক্ষকে ৫-০ তে হারিয়ে সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই ভারত হেরে যাবে বলে কেউ কি ভেবেছিল? তিনটি ম্যাচেই কিউয়িদের হারিয়ে শীর্ষে উঠে আসার দাবিদার হলেও বিরাট কোহলির দলের বিব্রতকর পরাজয়ের পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা এমন কয়েকটি কারণ তুলে ধরলাম।
জসপ্রিত বুমরাহের উইকেট না পাওয়া : বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার পুরো সিরিজ জুড়ে উইকেট হীন থেকেছেন। তিনি ৩০ ওভার বল করে ৫.৫৬ ইকোনমি রেটে ১৬৭ রান দিয়ে সিরিজটি শেষ করেছেন। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ক্রিকেট দল তিনটি ম্যাচেই পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে একটিও উইকেট তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। যা তাদের স্ট্রাইক-বোলিং কতটা দুর্বল তা বোঝায়। নবদীপ সাইনি, মহম্মদ শামি ও শার্দুল ঠাকুরের সাফল্যের কয়েকটি পর্যায় ছিল, তবে তাদের প্রধানতম বোলারের দক্ষতা যা ভারতকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।
বিরাট কোহলির খারাপ সিরিজ : যিনি নিয়মিতভাবে সেঞ্চুরি করতে অভ্যস্ত ২০১৯ আইসিসি বিশ্বকাপের পরে তার নামে দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি ভারতীয় শক্তিশালী ব্যাটিং পারফরম্যান্সের তুলনায় অনেক কম। কোহলির কাছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সবকটিতেই শতরান করার সুযোগ ছিল। ৩১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় তিনটি ম্যাচে ৫১,১৯, ৯ সর্বমোট ৭৫ রান করেছেন । অধিনায়ক হিসাবে দ্বিপক্ষীয় একদিনের সিরিজে এটি তার সবচেয়ে খারাপ প্রদর্শন।
ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা : শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মার অনুপস্থিতি মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং পৃথ্বী শ দু’জনকে অভিষেকের সুযোগ দিয়েছে। ৫ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সবকটিতেই ভারতের হয়ে ইনিংস শুরু করেন কে এল রাহুল কিন্তু তিনি ওডিআই তে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। মিডল অর্ডারে রাহুলের স্কোর দেখে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে ওপেনিং এ স্থানান্তরিত করার চিন্তাও করেনি। শ ও মায়াঙ্ক ভারতকে তিনটি ম্যাচেই ভালো শুরু উপহার দিতে পারেননি। প্রত্যেকটি ম্যাচেই ভারতীয় দল প্রথম পাওয়ার প্লেতে কমপক্ষে একটি উইকেট হারিয়েছিল। যেজন্য ভারতের ব্যাটিং পরবর্তী পর্যায়ে চাপে পড়ে যায়।