নয়াদিল্লি: একে তো করোনা পরিস্থিতি, তার জেরেই লকডাউন এবং তারপর একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত হচ্ছে গোটা দেশ। প্রথমে আমফান তারপর নিসর্গ, এখনও পর্যন্ত সবশেষে নিভার কার্যত লন্ডভন্ড করে দিয়েছে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলবর্তী অঞ্চলকে। আর এবার আতঙ্কের নাম ঘূর্ণিঝড় বুরেভি। যা তামিলনাড়ুতে ঢুকলেও ঘূর্ণিঝড় বুরেভি-র তেজ ততটা থাকবে না। কারণ ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে তাতেও আশঙ্কা কাটছে না তামিলনাড়ু উপকুলবর্তি ৯ জেলায়। কারণ, তামিলনাড়ু উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের গতি হতে পারে ৫৫-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুরেভির তাণ্ডবের আশঙ্কায় রয়েছে কেরলও। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে সেখানে বন্ধ রাখা হয়েছে তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর। উপকূলবর্তি এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্য নিরাপদ জায়গায়। এরই মধ্যে রাজ্যে খোলা হয়েছে ২০০০ ত্রাণ শিবির। জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। তিরুবনন্তপুরম জেলাতেই ২১৭টি ত্রাণ শিবির খুলেছে জেলা প্রশাসন। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১৫,৮৪০ জনকে। এলাকার মানুষকে চরম সতর্ক থাকতে বলেছে রাজ্যে সরকার। গোটা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ঝড়ের দাপট বেশি থাকবে তিরুবনন্তপুরম ও কোল্লাম জেলা সীমান্ত এলাকায়। এর প্রভাব প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে তিরুবনন্তপুরম কোল্লাম, পাথানামথিট্টা, আলাপুঝা, কোট্টায়াম-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায়। সব মিলিয়ে তামিলনাড়ু ও কেরলে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। যদিও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দানা বেঁধে রয়েছে, তবুও মানুষকে আতঙ্কিত হতে বারণ করেছে প্রশাসন।