পুরো সোশ্যাল মিডিয়াতে স্বীকৃতি চুরির অভিযোগ উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তবে গোটা বিতর্কে নিজেই জল ঢাললেন তপতী গুহ ঠাকুরতা। গতকাল একটি বক্তৃতা সভায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্বীকৃতি বিতর্ক নিয়ে তপতী বললেন, “এটা আমার একা স্বীকৃতি বলা ভুল হবে। অনেকেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রী এই স্বীকৃতি চুরি করে নিচ্ছেন এটা বলা আরো ভুল। মুখ্যমন্ত্রীর অবদান রয়েছে অন্য জায়গায়। আজকে হতে পারে আমি যে কাজটা করেছিলাম সেটা ওনাদের জানা ছিল না। বিভিন্ন কারণে আজকে উনি এটা জানতে পেরেছেন। তার জন্য আমাকে সম্মানও দিয়েছেন। উনি আজকে জানেন যে এই কাজটা অনেকটা আমরাই করেছি।”
তপতী এদিন বললেন, “সোশ্যাল মিডিয়াতে এক ধরনের গল্প রচিত হয়েছিল, যে গল্পের কোন মানে হয় না। আমি এই ধরনের কোন কথা বলিনি। আমার সম্মতিও ছিল না এরকম একটা গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। আমি এটাকে শুধুমাত্র রটনা বলবো।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউনেস্কো হেরিটেজ হিসেবে যাতে কলকাতার দুর্গাপুজো সম্মানিত হয় তার জন্য তপতী গুহ ঠাকুরতা যেভাবে কাজ করেছেন তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল তাকে যোগ্য সম্মান জানিয়েছেন বলেও খবর। দুর্গাপূজা যাতে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা লাভ করতে পারে সেজন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এই আবহাওয়া সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছিল, তপতীকে স্বীকৃতি না দিয়ে ফায়দা নিচ্ছেন একা মমতা। তবে এবারে এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিলেন তপতি নিজেই।
তিনি আরো বললেন, “কৃতিত্বের প্রশ্ন উঠবে কেন? যারা প্যান্ডেল বাধার কাজ করেন, সেই কর্মী থেকে রাজ্য সরকার কলকাতা পুলিশ সকলের অবদান রয়েছে এই পুজোকে সাফল্যমন্ডিত করার পিছনে। সরকারের অবশ্যই অবদান রয়েছে কারণ তারা পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। শিল্পীরাও বাংলার পুজোকে এই নান্দনিক জায়গাতে নিয়ে আসতে পেরেছেন।” গতকাল নিজের ভাষনের শুরুতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “আমি তপতী দেবীকে ধন্যবাদ জানাই। যিনি সোশ্যাল স্টাডিজে কাজ করেন এবং অনেক গবেষণা করে সাহায্য করেছেন, তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।” তার পাল্টা হাসিমুখে ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিস ইন সোশ্যাল সায়েন্সের অধিকর্তা তপতী গুহ ঠাকুরাতাকে।