শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতেই নিয়োগ পদ্ধতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা তারপর কাউন্সেলিং— শিক্ষক নিয়োগে অহেতুক দেরির কারণেই নিয়োগ পদ্ধতিতে বদল আনার চিন্তাভাবনা রাজ্য সরকারের। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে মূলত লিখিত পরীক্ষার ওপরেই ভিত্তি করে নিয়োগ করা যায় কিনা তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
এইদিন তিনি বলেন,“ নিয়োগ পদ্ধতিকে তরান্বিত করার চেষ্টা চলছে। ভেরিফিকেশন, কাউন্সেলিং, রিসার্ভেশন- এই একাধিক পদ্ধতিতে যথেষ্ট সময় নিয়ে নিচ্ছে। লিখিত পরীক্ষার পর বাকি তিন পদ্ধতিকে কমিয়ে একটাতে করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এখন পুরোটাই প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনার স্তরে রয়েছে।
শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বিকল্প নিয়োগ ব্যবস্থার খসড়া তৈরি করতে বলা হয়েছে। ” তিনি জানিয়েছেন, যে পরীক্ষাগুলি হয়ে গিয়েছে বা ইতিমধ্যে যে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, সে সব ক্ষেত্রে চলতি পদ্ধতিই অনুসরণ করা হবে। যদি নতুন নিয়োগ পদ্ধতি চালু হয় তবে প্রাথমিক বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সমস্ত স্তরেই নতুন নিয়োগ পদ্ধতি লাগু হবে।
তবে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা এখনও আলোচনার স্তরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নতুন নিয়োগ পদ্ধতি লাগু হলে, সম্পূর্ণ বিষয় সময় মতো জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে ছোট করতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।