ভোটের আগে বড় চমক মমতার, বাংলাতে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি পেল তেলেগু

Advertisement

Advertisement

বিধানসভার আগে খড়গপুর বাঁশির মন জয় করতে এবার নতুন এক পদ্ধতি গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। খড়্গপুরের সিংহভাগ বাসিন্দা তেলেগু। এই কারণে তাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এবার তেলেগু ভাষাকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হল। মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্যসভার বৈঠকে এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে ভোটকে পাখির চোখ করেই নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

খড়গপুর শিল্পাঞ্চলের সিংহভাগ জুড়ে বসবাস করেন তেলেগু মানুষজন। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, যাতে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ভাষা হিসেবে তেলেগু কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেখানকার বিধায়ক প্রদীপ সরকার রাজ্য সরকারের কাছে এই মর্মে বেশকিছু আবেদন জানিয়েছেন। এবার এই আবেদনকে স্বীকৃতি দিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।

Advertisement

বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল যাতে তেলেগু কে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ এই রাজ্যে ভাষাগতভাবে সংখ্যালঘু মানুষেরাও এবারে স্বীকৃতি পেলেন। এতদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় স্বভাবতই খুশি খড়্গপুরের তেলেগু মানুষেরা।

Advertisement

এতদিন পরে রাজ্যে হিন্দি, উর্দু, নেপালি, গুরুমুখী এবং ওড়িয়া ভাষা ছিল সরকারি ভাষা। এরপর এই তালিকাতে সংযোজন করা হয় রাজবংশী, কামতাপুরী এবং সাঁওতালি ভাষা। এবারে নতুন সংযোজন হলো তেলেগু ভাষা। বাংলার ভোটের আগে ভাষা একটি অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। এই কারণে, ভাষার দিক থেকে সংখ্যালঘু মানুষদের নিজেদের দিকে টানার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মতামত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

Recent Posts