করোনার জেরে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে মন্দির, মসজিদ, গির্জা! কুসংস্কার নয়, বিজ্ঞানে বিশ্বাস করুন
শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মন্দির, মসজিদ, গির্জায় তালা ঝুলছে। মানুষরূপী ভগবানরা সাদা পোশাকে রয়েছেন হাসপাতালে, হাসপাতালে নার্স, ডাক্তার, সহকারি কর্মী, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ, শহরাঞ্চল কে জীবাণুমুক্ত করার জন্য কর্মীরা প্রত্যেকেই এখন আমাদের কাছে ঈশ্বর সমতুল্য। এই মানুষগুলো না থাকলে আমরা ঘরের মধ্যে কিছুটা নিশ্চিন্তে হলেও থাকতে পারতাম না।
করোনা ভাইরাস রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে আমাদের। কিন্তু একবার ভাবুন তো এই মানুষগুলো রাত দিন এক করে শুধুমাত্র আমাদেরকে বাঁচিয়ে তুলবে বলে পরিশ্রম করে চলেছেন। মন্দিরের ভগবান, মসজিদের আল্লাহ, চার্চের যীশুখ্রীষ্ট আপাদমস্তক তাদেরকেও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। ভগবানের কাছে পুজো দিয়ে কিংবা মসজিদে গিয়ে জটলা বেঁধে আল্লাহকে ডেকে অথবা চার্চে একসঙ্গে বসে প্রার্থনা করলে করোনা ভাইরাস এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বই কমবে না। কারণ এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে একমাত্র রাস্তা হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কোন ঐশ্বরিক ক্ষমতা এটি থেকে আপনাকে মুক্ত করতে পারবে না। করবে একমাত্র বিজ্ঞান। বিজ্ঞানকে গ্রহণ করুন। বিজ্ঞানকে গ্রহণ করে একসময় মানুষ উন্নতির শিখরে উঠেছে।
আজ কেন কুসংস্কারকে মেনে নিচ্ছেন? মুসলিমদের জমায়েতের সাথে সাথে অনেক জায়গা তে পুজো দেওয়াকে কেন্দ্র করে অনেক জমায়েত লক্ষ্য করা গেছে। আপনি কাকে দোষ দেবেন? কোন ধর্মকে? কোন নির্দিষ্ট জাতিকে? না, ভুল আমরা সবাই করছি। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেককে এই ভুলের মাশুল দিতে হবে। করোনা ভাইরাস কিন্তু কোন জাতি বা ধর্ম দেখে দেখে আসে না। তাই বিজ্ঞানকে মেনে নিন, কুসংস্কার বর্জন করুন।