করোনা নিয়ে ভয়ানক গুজব ছড়ানো হচ্ছে WhatsApp এর মাধ্যমে, আপনিও এর শিকার হন নিত?
শ্রেয়া চ্যাটার্জি : করোনার ভয়ে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। যতটা না ভাইরাসের জন্য আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তার থেকেও বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে গুজবে। এই ভাইরাসটি যে মারাত্মক এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই এ কথা ঠিকই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এমন সব মেসেজ আসছে যা দেখে মানুষের এমনি আত্মারাম খাঁচা হওয়ার অবস্থা।
তাপমাত্রা বাড়লে এই ভাইরাস কমে যাবে অথবা গরম জলে নুন গার্গল করলে আপনি এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন, এই সমস্ত ভুলভাল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে ভরে গেছে। কিন্তু আপনি যদি নুন জনের গার্গেল করেন তাতে অবশ্য আপনার খুব একটা ক্ষতি হবে না। এই ঋতু পরিবর্তনের সময় গার্গল করলে আপনার গলাটা ভালোই থাকবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটি মারাত্মক খবর বেশ ভাইরাল হয়েছে সেটি হলো রবিবার নাকি বিশ্ব করোনা মুক্তি দিবস। হ্যাঁ, আর এই দিন মানুষকে দুপুর একটা থেকে রোদের মধ্যে দাড়িয়ে থাকতে হবে বেশ কয়েকক্ষন, তাহলে নাকি ভাইরাস টির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই ভয়ঙ্কর মেসেজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে। একবার ভেবে দেখুন তো আপনার যদি হাই প্রেসার থাকে আর আপনি যদি কয়েক মিনিট কড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকেন, করোনাভাইরাস তো দূরের কথা সানস্ট্রোক হয়ে আপনার মৃত্যু অনিবার্য।
আপনার ফোনেও যদি এরকম মেসেজ এসে থাকে প্লিজ সেটি শেয়ার করবেন না। আর আপনাকে যে বা যারা এই মেসেজগুলো পাঠাচ্ছে তাদের বারণ করুন এগুলো শেয়ার করতে। তারা হয়তো না বুঝেই বিষয়টি করছে তারা হয়তো আপনার আমার প্রত্যেকেরই ভালো চান। কিন্তু ভালো চাইতে গিয়ে তারা যে কি বিপদ ডেকে আনছেন, তারা নিজেরাও জানেন না। কোনরকম গুজবে কান দেবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। আর অন্যকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলবেন না। যদি সত্যিই এই ভাইরাসটি সম্পর্কে বিশদে জানতে হয়, তাহলে কোন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানুন, বা কোনও বিশ্বস্ত অর্গানাইজেশন এর ওয়েবসাইটে গিয়ে এই ভাইরাসটি সম্পর্কে জানুন। কি করবেন কি করবেন না কতটা সাবধান থাকবেন সবকিছুতে জেনে নিন। বাড়িতে বাচ্চা বা বয়স্ক থাকলে বা ডায়াবেটিক রোগী থাকলে তাদের কিভাবে যত্ন নেবেন, আলাদা করে সেটাও জেনে নিন।