Mithai: সাঁড়াশি নিয়ে জা’কে আক্রমণ মদ্যপ মিঠাইয়ের, নতুন প্রোমোতে হুলুস্থুলু কান্ড
এখন বাংলার এক নম্বর ধারাবাহিক বলতেই সকলের মুখে মুখে ঘোরে মুখে মুখে ঘোরে এখন একটাই নাম। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন মিঠাইয়ের কথা বলছি। এই বছরের প্রথম দিকে শুরু হয় এই ধারাবাহিক। ‘মিঠাই’ শুরু থেকেই একটানা টিআরপি রেটিংয়ে একচেটিয়া ভাবে শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছে। এই ধারাবাহিকের প্রতিটা চরিত্র মন কেড়েছে সকল মা কাকিমাদের। বাংলা ধারাবাহিকের ইতিহাসে টানা ৩৫ সপ্তাহ ধরে সেরার শিরোপা ধরে রেখেছে মিঠাই। দর্শকদের মনে টানটান উত্তেজনা বজায় রাখতে প্লটের মধ্যে একের পর এক টুইস্ট নিয়ে এসেই চলেছেন পরিচালক মশাই ।
এই সপ্তাহেও খামতি রাখেননি। সম্প্রতি নেট মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মিঠাই আর টেসকে নিয়ে মনোহারাতে বিচার পর্ব চলছে। তবে কারণটি কী? সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে মোদক পরিবারের নবদম্পতি সোম-তোর্সার উদ্দেশ্যে মনোহারাতে একটি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। মিঠাই-এর জন্য প্ল্যান করেছিল টেসবুড়ি। বড়জা প্ল্যান করে একের পর এক মদের গ্লাস হাতে তুলে দেয় তুফান মেককে। কিন্তু মদ খেয়ে তুফান মেল এমন কাণ্ড ঘটাবে তা দুঃস্বপ্নেও আশা করেনি টেস বুড়ি!
আসল ব্যপার খোলসা করে বলা যাক। রান্নাঘরে মাংস গরম করতে করতে আচমকাই টেস মিঠাইয়ের গলায় ঢেলে দেয় মদ, আর প্রথমবার শর্ট খেয়েই হুঁশ খুইয়ে ফেলে মিঠাই। তারপর তোর্সাকে সাঁড়াশি নিয়ে তাড়া করে মিঠাই। আসলে মিঠাইয়ের বড় জাকে সিডি বয় বৌদিমণি বলে ডাকে তবে মিঠাই রানীর কার্তিক ঠাকুরের নাক উপড়ে নেবে সে, এমনই কথা বলেছিল তোর্সা। মিঠাইয়ের কার্তিক ঠাকুর ও পার্টির মধ্যে গানে গানে ঠিক তোর্সাকে বৌদি বলেই দেয় সে। এরপর থেকেই টেনশনে থাকে মিঠাই, আর মদ খেয়ে সেই ভাবনাই মাথায় ঘুরপাক খায় মিঠাইয়ের। আর তারপরেই সাঁড়াশি নিয়ে বড় জা-কে আক্রমণ করে বসে সে। হল্লা পার্টি অবাক হয়ে এই কীর্তি দেখে। মিঠাইয়ের হাত থেকে তোর্সাকে বাঁচাতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে সিদ্ধার্থ, সোম থেকে বাকিরা।
বাবাগো, মাগো করে প্রাণপণে দৌড় যায় টেস।অবশেষে সিদ্ধার্থ এক বালতি জল ঠেলে ঠাণ্ডা করে দেওয়া হয় মিঠাইকে। ততক্ষণে জ্ঞান হারিয়ে ঘুমের দেশে পাড়ি দেয় মিঠাইরানি। পরদিন সকালে শুরুতে প্রথমে কিছু মনে করতে পারে না মিঠাই। কিন্তু উচ্ছেবাবুর রাগ দেখে গতরাতের কাণ্ডের গভীরতা সম্পর্কে বুঝতে পারে অভিনেত্রী। অফিস কলিগদের সামনে তাঁর মাথা হেঁট করিয়েছে বউ। আর তাই কোনো ভাবে মানতে পারছে না সিদ্ধার্থ। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও কেন তোর্সার সঙ্গে প্র্যাঙ্ক করেছে মিঠাই তাই জানতে চায় সিদ্ধার্থ। তবে মিঠাইকে বকলেও তোর্সার সামনে মিঠাইয়ের পক্ষ নেন সিদ্ধার্থ। তোর্সাকে স্পষ্টভাবে সিড বলে, ‘তুই প্ররোচণা না দিলে মিঠাই কোনওদিন এই কাজটা করত না। এরপরেই দুজনের দোষ বিচার করার দায়ভার পড়েছে মনোহারাএ হেড অফ ফ্যামিলি দাদাইয়ের ওপর।