আশির দশকের সবথেকে জনপ্রিয় কিছু সিনেমার মধ্যে একটি ছিল রাম তেরি গঙ্গা মেইলি। এই সিনেমায় দারুন অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন মন্দাকিনী। রাজ কাপুরের এই সিনেমাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল এবং এই সিনেমায় মন্দাকিনী নিজের বোল্ড অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের মনে নিজের একটা আলাদা জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন। সাদা রংয়ের শাড়ি পড়ে ঝরনা নিচে দাড়িয়ে পোজ দিয়ে মন্দাকিনী রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন একজন সেন্সেশন।
রাম তেরি গঙ্গা মেইলি সিনেমায় অভিনয় করে সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয় হয়ে যাবার পরে তিনি রাতারাতি হয়ে যান একজন স্টার। তার জনপ্রিয়তা ভীষণ বেড়ে যায় এবং তারপর তিনি একের পর এক সিনেমায় অফার পেতে থাকেন। উনার ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুর দিক থেকে তিনি দারুণভাবে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং তার একের পর এক ছবি হিট হতে শুরু করে। একটা সময় পর্যন্ত বলিউডের সবথেকে জনপ্রিয় এবং সবথেকে সফলতম অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন মন্দাকিনী। তবে, তিনি যতটা দ্রুতগতিতে নিজের ক্যারিয়ারে উন্নতি করেছিলেন, ঠিক ততটা দ্রুত গতিতেই তার ক্যারিয়ার গ্রাফ নিচের দিকে চলে আসে। তারপর তিনি হঠাৎ করেই ফিল্ম জগত থেকে একেবারে হারিয়ে যান। তিনি হঠাৎ করে কেন সিনেমা জগৎ থেকে হারিয়ে গেলেন সেই বিষয়ে সঠিকভাবে কোন কথা বলা যায় না। তবে শোনা যায় তিনি নাকি দাউদ এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন এবং এই কারণেই তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। এই মুহূর্তে মন্দাকিনীর বয়স ৫৮ বছর। এখন কেমন দেখতে হয়েছেন মন্দাকিনী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বয়সের সাথে সাথে তার চেহারার সেই ঔজ্জ্বল্য এবং গ্ল্যাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার চেহারায় এসেছে বয়সের ছাপ। তার ওজন অনেকটাই বেড়ে গেছে। শোনা যায় তিনি এখন আর ছবিতে কাজ করতে চাইছেন না। তার দুই সন্তান রয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর পুত্র সন্তান সিনেমা ডেবিউ করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তবে সিনেমায় অভিনেত্রী হিসেবে নয় তিনি পরিচালক অথবা ব্যাক ক্যামেরার কোন কাজে নাম লেখাতে চাইছেন নিজের। ইতিমধ্যেই ছোটি সর্দারনী সহ একাধিক সিরিয়াল তাকে অফার করা হয়েছে। যদিও তিনি এই ধরনের সিরিয়ালে এখন আর তেমনভাবে কাজ করতে চাইছেন না।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। রাম তেরি গঙ্গা মেইলি ছবির মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তিনি নিজের পুরো সিনেমা ক্যারিয়ারে ৪০ এর কিছু বেশি সংখ্যক সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে তার প্রথম ছবির মত জনপ্রিয়তা তিনি আর কোন ছবিতে পাননি। শেষবারের মতো ১৯৯৬ সালে জোরদার ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। তারপর হঠাৎ করেই ফিল্ম জগত থেকে তিনি সরে যান। যখন তার কাছে সিনেমার অফার আসা বন্ধ হয়ে যায়, তখন তিনি সিনেমা জগৎ থেকে দূরে গিয়ে নিজের একটা আলাদা জগত তৈরি করার দিকে মন দেন। এই মুহূর্তে তিনি নিজের স্বামীর সাথে একটি টিবেটান হারবাল সেন্টার চালান।