শ্রেয়া চ্যাটার্জি – আমফানের ধাক্কায় শিকড় বাকড় উপড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছ। ২৭০ বছরের বটগাছকে টলিয়ে দিল আমফান। বোটানিক্যাল গার্ডেনের উত্তর – পশ্চিম প্রান্তে এই বিশাল বটগাছের অবস্থান। গাছটি ৪.৬৭ একর জায়গা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১৮৬৪ সালে এবং ১৮৬৭ সালে সাইক্লোনে এই গাছের দুটি ঝুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বিজ্ঞানী বসন্তকুমার সিং জানান, বৃহৎ বটগাছ হিসাবে এর যে সুনাম ছিল সেই নামটি হয়তো সে হারাতে বসল। ফনি, বুলবুল যা করতে পারেনি, আমফান করে দেখিয়ে দিল।
শুধুমাত্র এই বটগাছটি ছাড়া ২৭৩ একর জায়গা জুড়ে বোটানিকাল গার্ডেন এর অনেক অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৫,০০০ গাছের মধ্যে ১০০০ গাছ প্রায় নষ্ট হয়েছে। বাগানের ডিরেক্টর কনক দাস বলেছেন, “সাইক্লোন ‘আমফান’ একেবারে পুরো বাগানকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। বিশাল সংখ্যক গাছ শিকড় উপড়ে মাটিতে পড়ে গেছে।”
এই বটবৃক্ষ টি দেখার জন্য ওই বোটানিক্যাল গার্ডেনে অনেকে বেড়াতে যান। এই বৃক্ষটি এতটাই বড় এবং এতই ঝুরি নিজে থেকে নামিয়েছে যে আসল কাণ্ডটি খুঁজেই পাওয়া যায় না। সবকটাকে আসল কান্ডের মত মনে হয়। শুধু তাই নয়, এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে নানান রকমের দেশ-বিদেশের দামি বৃক্ষ। আমফানের জন্য তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত।
আসলে প্রকৃতির তান্ডবলীলার কাছে মানুষ বড় অসহায়। কলকাতা জুড়ে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা উপড়ে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাস এর জন্য লকডাউন হওয়ার ফলে গোটা পৃথিবী যখন একটু দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল, কলকাতা যখন দূষণের মাত্রা একটু কমে ছিল সেই মুহূর্তে এতগুলি গাছের ধ্বংস। যা সত্যি বড্ড কষ্টদায়ক, বেদনাদায়ক এবং চিন্তারও বিষয়।