অর্থনীতি নিয়ে মানুষের মন থেকে সন্দেহের নিরসন ঘটাবে এই বাজেট
অর্থনীতির বর্তমান মন্দার জন্য এতগুলি বিবিধ ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে যে, ২০২০ সালের বাজেটে পূর্ববর্তী বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন। সরকারের দর্শনকে প্রকৃত পরিকল্পনার মতোই স্থান দেওয়া দরকার।
এই বাজেটে ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার যে সরকার কীভাবে গত বছর নিজের জন্য নির্ধারিত অ-অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণ করেছে। ২০১৯ এর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য, তথ্যের আরও ভালভাবে ব্যবহার, শ্রমবাজারের সংস্কার, নিম্ন বিচার বিভাগকে শক্তিশালীকরণ এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র তৈরি করার দিকে কিছুটা সুস্পষ্ট দিক নির্দেশ রয়েছে। প্রথমত, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে পারে এমন একটি বার্তা হ’ল কিছু অঞ্চলে কী অর্জন হয়েছিল তা স্পষ্টভাবে নির্দেশ করা।
অধিকাংশ মানুষের মধ্যে এমন একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, বিনিয়োগের পরিমাণ কমে গেছে। ফলে, এমন ইঙ্গিত দেওয়া প্রয়োজন যে, সরকার টেবিলের উপরে কিছু অর্থ রেখে দিতে প্রস্তুত। যাতে অনিশ্চিত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বিনিয়োগ করার উৎসাহ পায় বিনিয়োগকারীরা। সরকারের এটা স্পষ্ট করা দরকার যে, বিনিয়োগ এবং চাকরির বিকাশ রাজস্ব সর্বাধিককরণের চেয়ে অগ্রাধিকার নিতে পারে। এ জাতীয় পছন্দ করার ক্ষেত্রে ভুল বা অনৈতিক কিছু নেই।
আরও পড়ুন : কেরালা ও পাঞ্জাবের পর সিএএ-র বিরুদ্ধে আইন তৈরী করতে চলেছে বাংলা
ধীরে ধীরে এই বৃদ্ধির ফলে রাজস্ব আয়ের উপর চাপ পড়েছে, আর্থিক চাপ চাপিয়েছে। সরকারগুলি ঐতিহ্যগতভাবে অর্থ প্রদানের ঘাটতিকে হ্রাস করতে চেয়েছে, তাদের নগদ হিসাব ব্যবস্থার মাধ্যমে – কেবল অর্থ প্রদান না করে। বিশেষত, যে সমস্ত প্রকল্পগুলির কাজ এখনও শেষ হয়নি (মহাসড়কের ক্ষেত্রে) অথবা যা বেসরকারী দলগুলির নিয়ন্ত্রণের বাইরে তেমন পরিস্থিতিতে একটি পদ্ধতি হওয়া দরকার যা কমপক্ষে কিছু সরলতা নিশ্চিত করে বিডিং সংস্থাগুলি।
উচ্চতর আর্থিক ঘাটতির অস্তিত্ব স্বীকার করা, এর কারণগুলি ব্যাখ্যা করা এবং সিস্টেমের মাধ্যমে অর্থপ্রদানের প্রবণতা বাড়ানো আরও ভাল। নির্ধারণকারী সংস্থাগুলি, যারা প্রায়শই আর্থিক ঘাটতির জন্য সংবেদনশীল, তারা যদি আর্থিকভাবে বিশেষত চাকরি তৈরি করতে এবং চাঙ্গা করে তোলে উদ্দীপনায়, বাজেট কেন গৃহীত পদক্ষেপগুলি কার্যকর হবে, তা যদি বাজেট নির্দেশ করে তবে আর্থিক সংস্থাগুলি আরও বেশি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষের মনের সন্দেহের দূরীকরণে এই দিকগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন সরকারের।