২০২১ সালে ভারতের সমস্ত নাগরিকদের জন্য ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী বছর যদি কেউ নতুন পাসপোর্ট আবেদন করতে যান অথবা পুরোনো পাসপোর্ট রি-ইস্যু করেন তবে তখন আবেদন করলে ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ-সহ ই-পাসপোর্ট মিলবে। এই পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য কোনো একটি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। উপযুক্ত আইটি গড়ে তুলবে এজেন্সি। এরপর গোটা দেশে ই-পাসপোর্ট কার্যকর হবে ধীরে ধীরে।
ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা হল, এই পাসপোর্ট সহজে নকল করা যাবে না। সেরকমই দ্রুত অভিবাসনের ব্যবস্থাও হবে। জানা গিয়েছে, এজেন্সি নির্বাচন ও উপযুক্ত সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলেই ই-পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। নকল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে এই পাসপোর্টে। এজেন্সি নির্বাচন করবে বিদেশমন্ত্রক।
এই ই-পাসপোর্ট ব্যাক্তিগতকৃত থাকবে। যার ফলে নকল করা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে অনেকটাই। জানা গিয়েছে দিল্লি ও চেন্নাইতে এই পাসপোর্ট তৈরি হবে। তারপর ধীরে ধীরে দেশের ৩৬টি পাসপোর্টের অফিসে তৈরি হবে এই পাসপোর্ট তৈরির কাজ। পরিকাঠামো নির্মান ও এজেন্সি বাছাই সম্পূর্ণ হলে দেশে ১ ঘন্টায় ১০ থেকে ২০ হাজার পাসপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে।