এই বছরের শেষের দিকে তাদের দেশে ভারতের সফরকে নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) প্রচুর উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিসিসিআইয়ের একজন প্রবীণ কর্মকর্তা এবং কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল নিশ্চিত করেছেন যে ভারতীয় দল সফর শুরুর আগে দুই সপ্তাহ অস্ট্রেলিয়ায় কোয়ারান্টাইনে থাকার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাদের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিএর পক্ষে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরটি অনুষ্ঠিত হলে সিএ সম্প্রচার অধিকারের মাধ্যমেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মহামারীজনিত কারণে কোনও ক্রিকেট খেলতে না পারায় সিএ এ্য ৮০% কর্মীর বেতন এপ্রিলে ২০% এ এসে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনকি রাজ্য বোর্ডগুলিও তাদের বার্ষিক অনুদানের 25% হারিয়েছে। অরুণ ধুমল বলেছেন যে এক পর্যায়ে ক্রিকেটকে আবার শুরু করতে হবে তাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আর কোনও উপায় নেই। তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে ১৪ দিনের কোয়ারানটাইনের সময়কাল ক্রিকেটারদের পক্ষে দীর্ঘ নয়।
তিনি জানিয়েছেন, “কোন বিকল্প নেই প্রত্যেককে এটি করতে হবে। আপনি ক্রিকেট আবার শুরু করতে চান। দুই সপ্তাহ যে লকডাউন দীর্ঘ হয় না। এটি যে কোনও ক্রীড়াবিদের পক্ষে আদর্শ হবে কারণ আপনি যখন এত দীর্ঘ সময়ের জন্য পৃথক অবস্থায় থাকছেন, তখন অন্য দেশে গিয়ে দু’সপ্তাহের লকডাউন করানো ভাল কাজ হবে। আমাদের দেখতে হবে যে লকডাউনের পর নিয়মগুলি কী হতে চলে।” তদুপরি, বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ নিশ্চিত করেছেন যে লকডাউনের আগে ঠিক হয়ে থাকা চারটি ম্যাচের ঐতিহ্যবাহী সিরিজের পরিবর্তে এই সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলার কথাবার্তা এখন বদলে যেতে পারে। তিনি এও উল্লেখ করেছিলেন যে সিএ এবং বিসিসিআই সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে বসার পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে ধুমল মনে করেন যে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি সিএর জন্য টেস্ট ম্যাচের চেয়ে বেশি আয় করবে।
বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ আরও জানান, “একবার যদি আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে কখন ক্রিকেট আবার শুরু হবে, তখনই কেবলমাত্র আমরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হব। লকডাউনের আগে সিএ এর সাথে সেই আলোচনাটি পাঁচটি টেস্টের জন্য হয়েছিল। যদি কোনও উইন্ডো উপলব্ধ থাকে তবে দুই বোর্ড তাদের সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা কোনও টেস্ট ম্যাচ বা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় কিনা। লকডাউন এবং লকডাউন পরবর্তী সময়ে তাদের(সিএ) যে পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি হবে তার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি থেকে সম্ভবত টেস্ট ম্যাচের চেয়ে বেশি আয় হবে।” আজ আইসিসি ও সিএ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনায় বসেতে চলেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পক্ষে এই বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হওয়া শক্ত বলে মনে করেন বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ।