কৌশিক পোল্ল্যে: এমনিতে তাদের বিয়ের ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক জলঘোলা হয়েছে। যেমন এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা তেমনই এসেছে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ন মন্তব্য। যদিও বয়সের বৈষম্যকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তারা এখন সুখী দম্পতি। এমনাবস্থায় বিয়ের পর স্ত্রীর প্রথম জন্মদিনে বিশেষ কিছু করবেন না দীপঙ্কর, তা কী হয়। চলুন উনি কী বলছেন দেখে নিন ওনারই বয়ানে।
নিউজ 18 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপঙ্কর জানান, প্রতিবছরই দোলনের জন্মদিন পালন হলেও সেভাবে বিশেষ আড়ম্বর কিছুই হয় না, তবে তার পছন্দের পদগুলি রান্না হয়। যদিও তিনি সেই সব খাওয়া দাওয়া সারেন খুব সাবধানে।
তাদের পুরোনো দিনের স্মৃতিচারনের কথাও উঠে এল। দোলন জানান, সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর প্রথম জন্মদিনটিতে তিনি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন দীপঙ্করের কবিতা যা তার কাছে খুব প্রিয়। এবং কোনো এক জন্মদিনে তিনি দীপঙ্করকে এক সেতার উপহার দেন যা এখন অব্যবহৃত।
আরও পড়ুন : ইরাবতীর মনামীকে দেখা গেল অন্য লুকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি
বয়সের ফারাক নিয়ে তাদের বক্তব্য অতি স্পষ্ট। তারা একে অপরকে চেনেন পঁচিশ বছর এবং দীর্ঘদিন তারা একসঙ্গে থেকেছেন সেটাই আসল। আজকাল সম্পর্কগুলো তো খুবই ঠুনকো, বরং ব্রেকআপ হওয়া রীতিমতো ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই যারা তাদের নিয়ে ট্রোল করেন তারা নিকৃষ্ট মানসিকতার মানুষ, কারন মনের ভালোবাসাটাই আসল।
জন্মদিনে ভগবানের কাছে দোলন প্রার্থনা করলেন, যেন প্রতিটি জন্মদিনে দীপঙ্করকে তিনি পাশে পান। বয়সের গোলমেলে অঙ্ক মিলিয়ে ব্যাপারটা একটু কঠিন, কিন্তু সেই কঠিন কাজকেই সহজভাবে নিতে প্রস্তুত দোলন। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর বছর ৭৫ এর দীপঙ্কর দে, ৪৯ বছরের অভিনেত্রী দোলন রায়কে বিয়ে করেন। নিজেদের সম্পর্ককে সামাজিক স্বীকৃতি দিয়ে বেশ ভালোভাবেই দিন কাটাচ্ছেন এই সুখী দম্পতি।