প্রীতম দাস : আগামী ৮ জানুয়ারি বুধবার সিটু ও অন্যান্য বেশ কিছু বামপন্থী সংগঠনের ডাকে সাধারণ ধর্মঘট পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। একাধিক ইস্যুর দাবিতে প্রতিবাদে বুধবার দিন এই ধর্মঘট পালন করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কালা পরিবহন আইন বাতিল করতে হবে , ফাইন বাড়ানো যাবে না , পরিবহন শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা , পি. এফ , এক্সিডেন্ট বেনিফিট দিতে হবে , কুড়ি টাকা প্রতিটি কিমি ভাড়া দিতে হবে , ওলা উবের অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলির কমিশন কমাতে হবে , এন আর সি , সি এ এ , এন পি আর বাতিল সহ একাধিক ইস্যুতে এইদিন ধর্মঘট পালিত হবে বলে জানা গেছে।
এরই সাথে শ্রমিকের ন্যূনতম ২১ হাজার টাকা বেতন , ১০০০০ টাকা পেনশন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি রোধ ইত্যাদি একাধিক ইস্যুতে ৮ ই জানুয়ারি ২০২০ সাধারণ ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে ওলা উবের অ্যাপ ক্যাব চালক ও অপারেটররা। এছাড়া এই ধর্মঘটের আরো একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে এই শহরে মূলত ওলা উবের ও তার সাথে কিছু জাস্ট গো ও বিভিন্ন কোম্পানি আছে। এই কোম্পানিগুলির নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই। এই কোম্পানিগুলি অনলাইনের মাধ্যমে যাত্রীদের বুকিং করিয়ে দেয় ও তার বাবদ কমিশন নেয়। মূলত তারাই চালক তারাই গাড়ির মালিক তবে কিছু ক্ষেত্রে গাড়ি মালিকরা চালক রেখে ভাড়া খাটায়। গাড়ির দেখাশোনা তেল ও অন্যান্য খরচ সব চালকের বা অপারেটরের। দাবি করা হচ্ছে কোম্পানিগুলির শোষণের পরিমাণ এত বেশি যে গাড়িচালক ও অপারেটরদের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে চলেছে।
তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে যেএই কোম্পানিগুলি অযথা হঠাৎ করে ড্রাইভার দের আইডি ব্লক করে দিত। ইউনিয়নের আন্দোলনের ফলে তা বন্ধ হয়েছে। প্রায় ২০০ জনের আইডি খুলেছে। আগে ৭ থেকে ৮ কিঃমিঃ দূরে বুকিং দিত বর্তমানে সেটা কমেছে। ইউনিয়নের দাবি যে ২ কিমির মধ্যে যাত্রী পিক আপ দিতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে পেমেন্ট দিতে হবে চালককে। এছাড়াও যে হারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে তাতে ড্রাইভার ও অপারেটরদের যন্ত্রণা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে দাবি তাদের। তার উপর এই কোম্পানিগুলির শোষণ এর ফলে তাদের এই যন্ত্রণার মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের আরও বক্তব্য যে রাজ্য সরকারের সাথে এই কোম্পানিগুলোর চুক্তি হয়েছিল সর্বোচ্চ কুড়ি শতাংশ কমিশন দেবে কিন্তু কোম্পানিগুলি জিএসটি এর নাম করে আরও ৫ পার্সেন্ট মানে ২৫% কমিশন নিচ্ছে।
ওলা উবের সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় বোস জানান যে , আমাদের এই ধর্মঘট শুধুমাত্র চালকদের জন্য নয় , আমাদের এই আন্দোলন সর্বব্যাপী ও সর্বসাধারণের জন্য। এখানে শুধু চালক ও অপারেটর এর স্বার্থ ও দাবি নিয়ে লড়াই করছি না। আমরা এর সাথে সাধারণ মানুষের স্বার্থ ও দাবি নিয়ে একইসাথে এই ধর্মঘটে সামিল হচ্ছি। আমাদের এই ধর্মঘট সাফল্য মন্ডিত হবে এ ব্যাপারে প্রায় প্রায় সুনিশ্চিত।