বেশ কিছুদিন ধরে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ নিয়ে এখন বিতর্কের শেষ হয়নি। গত শনিবার, সকালে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদের এবং অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী পদের শপথ গ্রহন করেন। এরপর মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির নেতৃবৃন্দরা বিক্ষোভ দেখায়। এই বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টের দারস্থ হয় এই জোট।
রবিবার সকালে এই মামলার সুনানি হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এনভি রামান্না, অশোক ভূষন, সঞ্জীব খান্না এবিষয়ে মত দেন। উভয়ের বক্তব্য শোনার পর সোমবার সকালে সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের দেওয়া চিঠি এবং মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের নির্দেশনামা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করে বিচারপতিরা।
অজিত পাওয়ার দাবি করেছেন ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থনে মন্ত্রীপদ গঠন করেছেন। কিন্তু বিরোধী পক্ষের দাবি অজিত পাওয়ার যে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন তা অবৈধ। দুই পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি রায় দেয় আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় এই মামলার রায় দেবেন।
গত রবিবার মহারাষ্ট্র নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি সলিনিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে দুটি চিঠি দিতে নির্দেশ করেছিল। প্রথম চিঠি যেখানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দ্বিতীয় চিঠিতে যেখানে অজিত পাওয়ার এনসিপি বিধায়কদের সমর্থনের কথা লিখিতভাবে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন।
সেই কথামতো তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে দুটি চিঠি পেশ করেন। আজ, তুষার মেহতা বলেন, ২২ শে নভেম্বর অজিত পাওয়ার ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি রাজ্যপালকে জমা দেন। সেই চিঠিতে অজিত নিজেকে এনসিপির পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে জানিয়েছেন।
কিন্তু মহারাষ্ট্রে বিজেপির আইনজীবি জানান, বিজেপির কাছে ১৭০ জন এনসিপি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সকল যুক্তি শোনার পর শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতি জানান কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল সাতটায় এবিষয়ে রায় দেওয়া হবে