অফবিট

গাছের ভিতর মরনফাঁদ, সুন্দর গন্ধে শিকার ধরে এই ভয়ংকর মাংসখেকো গাছ, দেখুন

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – গাছগুলিকে দেখতে বেশ সুন্দর দেখলেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে কিন্তু এই গাছের ভিতর যে ফাঁদ পাতা আছে তা দেখে কে বুঝবে। এই গাছগুলির খুব সুন্দর গন্ধ আছে, আর এই গন্ধের টানে পতঙ্গ শ্রেণীর প্রাণী এর কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করে। আর এই গাছের ভিতরে রয়েছে এক ভয়ঙ্কর জলের ভান্ডার। জলের ভান্ডার টি অনেকটা আমাদের পাকস্থলীর মত, যেখানে পতঙ্গটি পড়ে যাওয়ার পরে তার শরীর থেকে শুষে নেওয়া হয় সমস্ত রস। জলের ভান্ডারটির মধ্যে পতঙ্গটি পড়া মাত্র পতঙ্গের শরীর এক নিমেষে ১০০ টি টুকরো হয়ে যায়।

এই গাছের ফুল গুলি কিছুনা হলেও এক মিটার এর কাছাকাছি লম্বা হয় এবং ফাঁদটি প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার এর কাছাকাছি লম্বা। এই ফাঁদ গুলি দু লিটার এর উপর পতঙ্গের রস ধারণ করতে পারে। এই ফুলের ধার গুলি বেশ পিচ্ছিল হয়, পতঙ্গ ফুলে আসার সাথে সাথে পিছলে নিচের জলের মধ্যে পড়ে যায়। জলের মধ্যে পড়ার সাথে সাথে পতঙ্গটি আটকে যায় ভেতরে।

মূলত বেঁচে থাকার কারণে উদ্ভিদগুলো মাংসাশী উদ্ভিদে পরিণত হয়। গাছের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন সূর্যের আলো, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জল আর নাইট্রোজেনও ভীষণভাবে দরকার। যে সমস্ত গাছ মাটি থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করতে পারে না তারা এই ধরনের প্রাণী থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে। কারণ এই ধরনের গাছ সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে ভূমিতে জন্মায়। স্যাঁতস্যাঁতে জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কম থাকে। পৃথিবীতে প্রায় ৪৫০ প্রজাতির মাংসাশী উদ্ভিদ রয়েছে।

এদের মধ্যে অন্যতম হলো ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ, সূর্যশিশির, ওয়াটার হুইল প্রভৃতি। ভারতের মালয়েশিয়া, মাদাগাস্কার, শ্রীলঙ্কাতে এক ধরনের কলসি উদ্ভিদ দেখা যায়। যাদের দেখতে অনেকটা কলসির মত। আর এই কলসির মতন অংশেই ফাঁদপাতা থাকে। ছোট ছোট কলসি জাতীয় গাছ গোবরে পোকা, পিঁপড়ে ইত্যাদি শিকার করে এবং বড় আকারের কলসি উদ্ভিদ গুলি ব্যাঙ, ইঁদুর শিকার করে। এই কলসির মধ্যে বৃষ্টির জল জমা থাকে। আর মুখে মধুর মতন এক ধরনের জিনিস থাকে, যার লোভে পোকামাকড় এইখানে এসে বসে। মধুর টানে পোকামাকড় গুলি আরো ভেতরে ঢুকতে চায়। আর ভিতরেই রয়েছে সেই জলের ভান্ডার। কলসির দেওয়ালটি পিচ্ছিল হওয়ার কারণে, পড়ে যায় সেইখানে। আস্তে আস্তে প্রথম পতঙ্গ থেকে দেহ রস শোষণ করতে থাকে উদ্ভিদ।

Related Articles

Back to top button