এবার হাথরস কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, “উত্তর প্রদেশের মেয়েটির রেপ হয়েছে, এখনও প্রমাণ হয়নি। ফরেন্সিক বলছে রেপ হয়নি।” সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততোই জটিল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শনিবার সন্ধ্যাবেলায় পীড়িতার পরিবারের বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য সিট হাথরসে পৌঁছয়৷ কিন্তু নির্যাতিতার বাবার স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক নেই৷ সিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওঁনার শরীর ঠিক হলে ফের তাঁর কাছে যাওয়া হবে৷ আর এই খারাপ পরিস্থিতির মাঝেই একের পর এক বিজেপি নেতার নেতিবাচক মন্তব্যে পরিবেশ আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
এবার হাথরস-কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটকে আরও ১০দিন সময় দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তে আরও কিছু তথ্য উঠে আসায় বাড়ানো হল তিন সদস্যের সিটের রিপোর্ট জমার মেয়াদ। কিছু দিন আগেই এই ঘটনার পরেই যোগী আদিত্যনাথ সরকার হাথরসের ঘটনায় সিবিআই দিয়ে তদন্তের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই হাথরস ধর্ষণ কান্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সারা ভারত।
বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হতে হয়েছিলো রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। আর এবার হাথরসের পথে তৃণমূলের সাংসদের দলের প্রতিনিধিরা, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। এরই মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্টের উল্লেখ করে যোগী রাজ্যের পুলিশের দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি।
অন্যদিকে এই বিষয় মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিএমও। ধর্ষণের অভিযোগের ১১ দিন পরে ওই তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিন পরে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয়। ফলত ধর্ষণ হয়েছে কিনা তাও বোঝা সম্ভব নয়।