রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানে বেনজির অসভ্যতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার পদত্যাগের দাবী চেয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রং খেলাকে কেন্দ্র করে একদল তরুণ-তরুণী অশ্লীল শব্দে পিঠে বা কারোর বুকে বিভিন্ন কায়দায় ছবি তোলে। এমন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানান কথা উঠে আসে। যার ফলে তিনি এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পদত্যাগপত্র পাঠান। কিন্তু সেই পদত্যাগপত্র গ্রহন করেনি সরকার। উপাচার্যকে আগের মতই কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছিল বসন্ত উৎসব। সেখানে একদল তরুণ-তরুণীর মধ্যে তরুণীদের পিঠে তরুণদের বুকে অশ্লীল শব্দ আবির দিয়ে লেখা। দুপুরের পরই তা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে। চারিদিক থেকে নিন্দার ঝড় শুরু হয়ে যায়। বিশিষ্ট মহলের মত, এমন একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অত্যন্ত কুরুচিকর। তবে ওই তরুণ-তরুণীদের পরিচয় কিছুক্ষণের মধ্যেই পাওয়া যায়। গত শুক্রবার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি জানাতে যায়। মুখ ঢেকে বসে থাকতে দেখা যায় ওই তরুণ-তরুণীদের।
আরও পড়ুন : বিতর্কিত রবীন্দ্র ভারতী দোল উৎসব, ইস্তফা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
অভিযোগ উঠে এসছে, গোটা ঘটনায় দায় এড়াতে চাইছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ। অনেকের বক্তব্য, একটা সময় পর্যন্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকারাই এই অনুষ্ঠান করতেন। তাদের হাতেই থাকত সবকিছু। কিন্তু ছাত্র সংসদের হাতে সবটা ছেড়েই শৃঙ্খলার সঙ্গে আপস করেছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তিনি বলেন, “ওই তরুণ-তরুণীদের অভিভাবকরা দেখলে তারাও কষ্ট পাবেন। কী ভাষা! এই ঘটনা লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।” শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “আমি উপাচার্য এবং প্রশাসনকে বলেছি, যা ব্যবস্থা দরকার নেবেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি আগামী বছর থেকে এই ধরনের ঘটনা যাতে কোনও ভাবেই না ঘটে।”