গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মহেশতলার বাটানগর এলাকায় একটি শববাহী গাড়ি সম্প্রীতি উড়ালপুল থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক সাইকেল, রিক্সা, ও পথচারীদের ধাক্কা মারে। দূর্ঘটনার ফলে শববাহী গাড়ির দুজন এবং একজন রিক্সাচালকের মৃত্যু হয়। বাকিদেরকে গুরুতর অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ও বাকিদের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার সময় শববাহী গাড়ির মালিকের মৃত্যু হয়। এছাড়াও এক পথচারীর মৃত্যু হয় চিকিৎসার সময়।
ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘাতক গাড়ির চালক সেরাবুদ্দিন মুন্সিকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চালককে আলিপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে, বেশ কিছুদিন ধরেই উড়ালপুর এলাকায় আলো ঠিকঠাক জ্বলে না, হয়তো এর ফলেই হয়তো দূর্ঘটনা ঘটেছে।
রাজ্য সরকার মহেশতলার মৃত পরিবারকে দুই লক্ষ এবং ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ কোটা থেকে ২ লক্ষ টাকা সহ মোট ৪ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়। বজবজের একনম্বর ব্লকের বিডিও রিনা ঘোষ, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাদক্ষ শ্রীমন্ত বৈদ্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিয়া হাজরা, এবং জেলা পরিষদের সদস্য বনশ্রী অধিকারী মৃতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন।